বাংলাদেশি শ্রমিকদের কোন খাতে কাজে লাগাবে মালয়েশিয়া?

MALAYSIA-REALLY-BANGLADESHIসিটিএন ডেস্ক:
মালয়েশিয়ার সেন্টার ফর এ বেটার টুমরো’র কো-প্রেসিডেন্ট গান পিং সিইউ দেশটির সরকারের পরিকল্পনা হিসেবে বাংলাদেশ থেকে নতুন করে ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি করেছেন। খবর অ্যাস্ট্রো আওয়ানি, মালয়েশিয়ার।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিষয়ে ব্যাখ্যা করা উচিৎ কেন ১৫ লাখ শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে আনা হবে। কোন খাতে তাদের কাজে লাগানো হবে। আর এই সংখ্যাটি ১৫ লাখই হতে হবে কেনো। আর এই পরিমাণ শ্রমিকের কথা শুধু বাংলাদেশিদের কেনো নির্বাচিত করা হলো। অন্য দেশের শ্রমিকদের চেয়ে তাদের কেনো পছন্দ করা হলো?
সরকারের এই পরিকল্পনার ব্যাখ্যা না থাকার কারণে জনমনে সন্দেহ ও অস্বচ্ছতার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রতিটি খাতের জন্য কি পরিমাণ সংখ্যা প্রয়োজন তাও স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করা প্রয়োজন। আমাদের প্রেক্ষাপটে মানবসম্পদ ইস্যুটি সঠিক ও যৌক্তিক কি না তা জানতে হবে।
সুশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা এর মধ্যে বাতাসকেও নির্মল রাখতে হবে। এরপরে সরকারের বিদেশি শ্রমিক নীতি আসে কারণ এই বিদেশি শ্রমিকরা আর্থ-সামাজিক পরিবেশে প্রভাব ফেলে। স্থানীয়ভাবে দেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা বিদেশি শ্রমিক আনার বিপক্ষে না। তবে দেশের মানবসম্পদ নিয়েও মহাপরিকল্পনা করতে হবে।
তারাও উৎপাদনশীল কাজে লাগতে পারে। তারাও দেশের জীবনমান পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারেন। অবসরপ্রাপ্ত বা যারা বিনা কারণে অনেক সময় নষ্ট করছে তাদের নিয়ে মহাপরিকল্পনা আরো বাড়তে হবে। তাদের উৎসাহিত করতে হবে যাতে তারা ফুলটাইম বা পার্টটাইম কাজ করতে পারে। আমাদের উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে হবে আর তাতে কম মূল্যে বিদেশি শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো উচিৎ নয়। এটি স্থায়ী উন্নয়নের জন্য যথাযথ সিদ্ধান্ত নয়।
আমাদের কর্মক্ষম জনগণের মধ্যে ১৩ মিলিয়ন হচ্ছে মালয়েশিয়ার স্থানীয়। এর সঙ্গে ১৫ লাখ বিদেশি শক্তিশালী শ্রমিক যুক্ত হলে এই সংখ্যা হবে ৫০ লাখ। বর্তমানে বিদেশি ও দেশি শ্রমিকের অনুপাত হচ্ছে ২ঃ১। এই অনুপাতটি কি দেশের জন্য প্রযোজ্য? সরকার বিদেশি শ্রমিকদের খাদ্যে ও পরিবহনের ভর্তুকি দিচ্ছে তাতে তারা ভালই উপভোগ করছে। তবে কোনো করদাতা কি তৈরি হচ্ছে না দেশের? কোনো কর দাতা তৈরি হচ্ছে না।
সহজে বিদেশি অদক্ষ শ্রমিকদের দেশে আনার ফলে বিদেশি শ্রমিকদের অপরাধ বেড়েই চলছে। এই অবস্থা মালয়েশিয়ার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য বিদেশি শ্রমিক আনা থেকে বিরত থাকতে হবে। জাতীয় স্বার্থেই আমাদের বিবেচনা করতে হবে।
গান পিং সিউই, মালয়েশিয়ার সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং সিইএনবিইটির কো-প্রেসিডেন্ট।


শেয়ার করুন