বর্ষবরণকে স্বাগত জানাতে ইনানী প্রস্তুত

88684201-0d5f-473b-99d1-42a9a19f847bশফিক আজাদ, উখিয়া:
বর্ষবরণকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠছে দেশের দীর্ঘতম সৈকত ইনানী। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। হোটেল মোটেল, কটেজ, গেষ্ট হাউস গুলোকে সাজানো হয়েছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ইনানী সী-বিচে দৃশ্যমান উন্নয়ন না হলেও প্রাকৃতিক প্রাচুর্যে ভরপুর ইনানীর গৌরবময় নিদর্শন উপভোগ করার জন্য ইতিমধ্যে আগমন ঘটতে শুক্ষ করেছে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার পর্যটক দম্পতির। চলমান পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোন প্রকার কর্মসূচী না থাকায় এবার সাচ্ছন্দে বর্ষবরনের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন এমনটি আশা করছেন পর্যটকরা। উপজেলা প্রসাশন বর্ষবরণের জমকালো আয়োজন নির্বিঘেœ সম্পন্ন করতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার কলাতলী হয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক পথে মাত্র আধা ঘন্টা সময়ে পৌছানো সম্ভব ইনানী সৈকতে। এখানে পাহাড় সাগরের অপরূপ মিলন দৃশ্য সহ পাটুয়ার টেক পাথরের স্তুপ, নীলাভ জলরাশির সাথে পাথর খন্ডের লুকোচুরি খেলা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হচ্ছে বিধায় প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্ট পাথর খন্ডের উপর দাঁড়িয়ে শত শত নারী-পুরুষ পর্যটক সাগরের উত্তাল তরঙ্গমালার দৃশ্য উপভোগ করতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটে প্রতিনিয়ত। ইনানী বীচ থেকে ১ কিলোমিটার দক্ষিণে সু-উচ্চ পাহাড়ের পাদদেশে কানারাজার গুহা এখনো কালের সাক্ষী হিসেবে দাড়িয়ে রয়েছে। তার একটু অদুরেই বিদ্যমান বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ফইল¬া চাকমার মাচাং ঘর যেন পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষনের সৃষ্টি করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ২৪ ডিসেম্বর সকালে ইনানী বীচ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কনকনে শীতের মধ্যে পর্যটক পরিবার পরিজনেরা তাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে ইনানী সৈকতে ঘুরাঘুরি করছে।
সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে আসা ব্যাংকার সাইদুল ইসলাম(৩৮) জানান, স্ব-পরিবারে আসছিলাম ইনানীতে রাত যাপনের মনমানসিকতা নিয়ে। এখানে পর্যাপ্ত হোটেল না থাকায় রুম পাওয়া যায়নি বিধায় কক্স¦বাজার থেকে আসা যাওয়া করে ইনানীর দেখার স্বাধ মেঠাতে হচ্ছে। ফেনীর ঠিকাদার অসীম রায় চৌধুরী (৪২) জানান, পর্যটন স্পট হিসেবে ইনানীর কোন তুলনা হয়না। কিন্তু এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং থাকা খাওয়াসহ বিনোদনের প্রচুর অভাব রয়েছে। ঢাকার পর্যটক ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান (২৮) জানান, এখানে মহিলাদের চেঞ্জিং রুম ও বার্থরুম না থাকায় পর্যটকদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইনানী ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতির সভাপতি ছৈয়দ হোছাইন জানান, পর্যটকদের জন্য চেঞ্জিং, বার্থরুম সহ পর্যটন বান্ধব সমস্যা সংকট নিরসনে কক্সবাজার জেলা প্রসাশনের বরাবরে বেশ কয়েকবার আবেদন করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। ইনানী বীচ ইজারাদার নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো জানান, পর্যটকদের ব্যবহৃত গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গাগুলো অবৈধ ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে চলে যাওয়ার কারনে গাড়ী পার্কিং নিয়ে পর্যটকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, ইনানী বীচের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা প্রসাশনের রয়েছে। বরাদ্ধ আসলেই কাজ শুরু করা হবে।


শেয়ার করুন