বর্ণিল সাজে সাজবে সৈকত নগরির প্রবেশদ্বার


পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার খ্যাত কলাতলীকে সাজানো হচ্ছে নবরুপে। ছায়া সুনিবিড় প্রাকৃতিক পরিবেশে অত্যাধুনিক সুবিধা ব্যবস্থা করে বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে কক্সবাজারকে। প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ধাপে কলাতলীর মোড় থেকে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত সড়কটি সাজানো হচ্ছে নান্দনিক রুপে। ইতিমধ্যে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথমধাপের কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং জেলা পরিষদ। আগামী দুইমাসের মধ্যে শেষ হবে কাজ। দ্বিতীয় ধাপে আরো প্রায় ৪ কোটি ব্যয় করা হবে এর সৌন্দর্য বর্ধনে। আর ওই ধাপেই ছোয়াতেই বদলে যাবে প্রবেশদ্বার। আধুনিক বিশ্বেও সাথে তাল মেলাতে কলাতলীতে থাকবে অত্যাধুনিক ইন্টারনেট সুবিধা ও আধুনিক থ্রি ডি প্রযুক্তির সব ধরনের সেবা। দেশ বিদেশ থেকে আগত অতিথিদের কাছে কক্সবাজারকে তুলে ধরতেই কলাতলীর সৌন্দর্য বর্ধন করা হচ্ছে বলে দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পর্যটন নগরীতে সড়কপথে আগত পর্যটকরা কলাতলী দিয়েই কক্সবাজারে প্রবেশ করে। তাই প্রবেশ মুহুর্তটিকে স¥রনীয় কওে রাখতেই হাতে নেওয়া হয়েছে ‘কলাতলীর প্রাকৃতিক দৃশ্য ও সৌন্দর্যবর্ধন’ শীর্ষক প্রকল্পটি। এ বছওে শুরুতে হাতে নেওয়া প্রকল্পটির প্রথমধাপের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। প্রকল্পের আওতায় সেখানে বিদ্যমান সড়কটি দুই লেনে উন্নীত করা হয়েছে। সড়কের দুই পাশে নির্মাণ করা হয়েছে প্রশস্ত ফুটপাত ও ড্রেন। এছাড়া হাটার জন্য আলাদা একটি রাস্তাও করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাগান নির্মানের প্রাথমিক কাজ শেষ করেছে জেলা পরিষদ । এছাড়া ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফুটপাত, ড্রেনের কভার, দুই লেনের উন্নীতকরন সহ অন্যান্য কাজ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পরিষদের সহকারি প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা জানান , কলাতলীর সৌন্দর্য বর্ধণ প্রকল্পে ৯ ফুট প্রশস্তের ‘সাইডওয়াকওয়ে’ ও ৩ ফুট প্রশস্তের ‘ড্রেন’ নির্মাণ করেছে জেলা পরিষদ।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়া জানান ‘কলাতলীর সৌন্দর্য বর্ধনের প্রথম ধাপের কাজ চলছে। ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের প্রথমধাপের কাজ শেষ হবে আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে। এইচকেসি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রথমধাপের কাজ বাস্তবায়ন করছে।
ইতিমধ্যেই সড়কটি দুই লেনে উন্নীতকরন করা হয়েছে। দুই লেনের মাঝখানে ডিভাইডার স্থাপন করা হয়েছে। নালা ওফুটপাতের কাজও শেষ। তবে এখনো ফুটপাত ও নালার ডাকনা দেওয়া হয়নি। বর্তমানে সড়কটিতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে সড়কটির বিটুমিন দিয়ে ঢালাই করা হবে। এছাড়া ান্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করা হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, বিশ্ব দরবারে কক্সবাজারকে অনন্য উচ্চতায় নিতে যেতেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায়
সৈকতের দিকে এগুতেই হাতের বামপাশে দৃষ্টিনন্দন পার্ক করা হবে। সেখানে গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রামের জন্য চেয়ার ও ছাউনির ব্যবস্থা থাকবে। পর্যটকরা ওই মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে বসেই সমুদ্র দর্শন করতে পারবেন। এছাড়া দুই লেনের মাঝখানে সৌন্দর্য বর্ধন করা হবে। পাশাপাশি উন্মুক্ত ওয়াইফাই সংযোজন সহ অত্যাধুনিক থ্রি ডি সুবিধা ¯হাপন করা হবে। ওইসব কাজে ব্যয় হবে আরো প্রায় ৪ কোটি টাকা।


শেয়ার করুন