বছরের প্রথম সিরিজই ড্র

02ক্রীড়া ডেস্ক :

১৮১ রানের লক্ষ্যটা বেশ কঠিনই ছিল। তার ওপর মাত্র ১৭ রান সংগ্রহ করতেই বাংলাদেশ হারিয়েছিল চারটি উইকেট। জয়ের আশা তখনই খানিকটা ফিকে হয়ে গিয়েছিল। তারপরও মাহমুদউল্লাহর লড়াকু অর্ধশতকে ভর করে ভালোই লড়াই চালিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ আউট না হয়ে গেলে খেলার ফল ভিন্ন রকমও হতে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮ রানের আক্ষেপভরা এক হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মাশরাফিদের। এক ওভার বাকি থাকতে ১৬২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। ফলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও শেষ হয়েছে ২-২ ব্যবধানের সমতা নিয়ে।

১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ছয় বলে ১১ রান করে ভালো সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু আশা জাগিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। এক ম্যাচের অনুপস্থিতির পর আবার দলে ফেরা তামিম ইকবালও মাত্র এক রান করে ফিরে গেছেন দ্বিতীয় ওভারে। তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশকে জোড়া ধাক্কা দিয়েছেন টেন্ডাই চিসকো। এক ওভারেই তুলে নিয়েছেন সাব্বির ও সাকিব আল হাসানের উইকেট। পঞ্চম উইকেটে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু সপ্তম ওভারে ইমরুলকে আউট করে বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলে দিয়েছেন সিকান্দার রাজা। ১৮ রান করে ফিরে গেছেন ইমরুল। তবে ভয়াবহ চাপের মুখেও ভালোই লড়াই চালিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল হাসান। ষষ্ঠ উইকেটে তাঁরা গড়েছেন ৫৭ রানের জুটি। ১৪তম ওভারে নুরুল ফিরে যান ১৫ রান করে। আর ১৬তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ ৫৪ রান করে আউট হয়ে গেলে জয়ের আশা প্রায় শেষই হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষপর্যায়ে মাশরাফির ২২ ও আবু হায়দারের ১৪ রানের ইনিংসগুলো হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে দারুণ বোলিং করে চারটি উইকেট নিয়েছেন নেভিল মাদজিভা। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন টেন্ডাই চিসকো।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ৫৮ বলে ৯৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৮০ রান জমা করেছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। একটি উইকেট নিয়ে প্রথম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব আল হাসান।


শেয়ার করুন