ফের ৫ দিনের রিমান্ডে শফিক রেহমান

03সিটিএন ডেস্ক :

প্রথম দফা রিমান্ড শেষে সাংবাদিক শফিক রেহমানের আবারও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার বিকেলে সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকালে আদালতে হাজির করে আরও সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন এই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এ এস পি হাসান আরাফাত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা মামলায় শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে প্রথম দফা রিমান্ড শেষে শফিক রেহমানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ এ রিমান্ড আবেদন করে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত শনিবার শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

এ রিমান্ড আবেদন করা হয়। শফিক রেহমানের ৫ দিনের রিমান্ড বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। শুক্রবার আদালতে আরো ৭ দিনের পুনঃরিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

গত ১৬শ শনিবার এপ্রিল ডিবি পুলিশ শফিক রেহমানকে রাজধানীর ইস্কাটনে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে। ওই দিনই ডিবি পুলিশ তাকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠায়। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডের তৃতীয় দিন শফিক রেহমান জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শফিক রেহমান ৩০ হাজার ডলার ঘুষ লেনদেনের কথাও স্বীকার করেছেন। তবে এ ঘুষ যুক্তরাষ্ট্রের বিএনপির নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারকে দিয়েছিলেন মিল্টন ভুঁইয়া। মিল্টন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনে বসবাস করেন (চট্টগ্রামের বাসিন্দা)। তবে মিল্টন এ অর্থ শফিক রেহমানের নামেই প্রদান করেছিলেন।

উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, শফিক রেহমান এ উদ্দ্যেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন ২০১২ সালের ২৭ জানুয়ারি। আর সিজারসহ অন্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ২৯ জানুয়ারি। পরে তিনি লন্ডন হয়ে দেশে ফেরেন। লন্ডন যাওয়ার ব্যাপারে শফিক রেহমান জানিয়েছেন, তিনি বিট্রিশ নাগরিক- এ কারণে প্রায়ই তিনি লন্ডন যান। তাছাড়া লন্ডন থেকে ঢাকার বিমান ভাড়া কম বলেই তিনি ওই সময় লন্ডন গিয়েছিলেন।

মিল্টনকে কে ডলার দিয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে উপ-কমিশনার বলেন, এ ব্যাপারে শফিক রেহমান সুস্পষ্ট কিছু বলেননি। বাসায় ডকুমেন্ট পাওয়ার ব্যাপারে শফিক রেহমান জানিয়েছেন, এসব ডকুমেন্ট মিল্টন ভুঁইয়া তাকে দিয়েছিলেন। পুনঃরিমান্ডের ব্যাপারে উপ-কমিশনার বলেন, আরও কিছু ব্যাপারে শফিক রেহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্যই পুনঃরিমান্ডের আবেদন করা হবে।

উল্লেখ্য, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের চক্রান্তে জড়িত থাকার মামলায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গত ১৮ এপ্রিল গ্রেফতারের আবেদন জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। একই সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। আদালত মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছে।


শেয়ার করুন