ফের ৪৮ ঘণ্টা হরতাল

বিএনপি 20নতুন বার্তা:

বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ফের সারা দেশে হরতাল ডেকেছে ২০ দল।
মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
এছাড়া, আগামী বৃহস্পতিবার সারাদেশে জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও সকল মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে  গণমিছিল কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।

বিবৃতিতে  সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আজ দেশের সকল গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনতা ঐক্যবদ্ধ। সংবিধান স্বীকৃত সকল মৌলিক ও মানবাধিকার রক্ষা, ভোটের অধিকার, প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই চলমান শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিনা ভোটের অবৈধ লুটেরা সরকারকে হটানোর কোনো বিকল্প আজ জনগণের সামনে খোলা নেই।”

বিবৃতিতে বলা হয়, “দমন-পীড়নই এখন পতনোন্মুখ সরকারের একমাত্র অবলম্বন। কতিপয় দলকানা গণমাধ্যমের অপপ্রচার ও ১৪ দলীয় আওয়ামী গলাবাজি শেষ বিচারে ক্ষমতায় টিকে থাকার নিষ্ফল ব্যাকুলতায় পর্যবসিত হবে শিগগিরই।”

সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “সিটি কর্পোরেশনে বিরোধী দল সমর্থিত নির্বাচিত মেয়রদের অপসারণের প্রক্রিয়া চলছে বলে আমরা পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানতে পেরেছি। সরকার ইতোমধ্যে বিরোধী দল সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, সিটি কর্পোরেশন মেয়রসহ অনেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে কলমের খোঁচায় অপসারণ করেছে। ‘আওয়ামী গণতন্ত্রে’ এটি নতুন কিছু নয় বরং এটি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচি ও বাকশালতন্ত্রের বাস্তবায়ন। তারই অংশ হিসেবে  রাজশাহীর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বাসায় হামলা, গুলি ও ভাঙচুর করে তার মাকে আহত এবং দু’ভাইকে আটক করা হয়। এই হামলার অজুহাত সৃষ্টির লক্ষে আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেয়রের বাসায় ককটেল হামলা পরিচালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। আমরা এহেন জঘন্য হামলা ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে সরকারকে হুঁশিয়ার করতে চাই-দেশে গৃহযুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা বন্ধ করুন, অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য আপনারা দায়ী থাকবেন। এসমস্ত ঘটনায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে আমরা আগেও তথ্য-উপাত্তসহ ঘটনাবলীয় বিবরণ জাতির সামনে উপস্থাপন করেছি। আজকেও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে-রাজশাহীর পুঠিয়ায় পেট্রলবোমা হামলার সময় পুলিশ হাতে নাতে গ্রেফতার করেছে ছাত্রলীগ নেতা সিজার, সোহানুর রহমান ও জয়কে। সুতরাং এসব নোংরা ষড়যন্ত্র বন্ধ করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন, গণতন্ত্রের যাত্রাকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে গণদাবি মেনে নিয়ে দ্রুত পদত্যাগ করুন। দেশ ও জাতিকে চরম অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় দেশে উগ্রপন্থা ও অগণতান্ত্রিক পন্থার উদয় হলে জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।”

তিনি আরো বলেন, “ইতোমধ্যে সরকার গণদাবি মেনে না নেয়ায় চলমান অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি পূনরায় আগামীকাল বুধবার সকাল ৬ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচি বর্ধিত করা হলো। এছাড়া একই দাবীতে আগামী ৫ মার্চ সারাদেশে জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও সকল মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণমিছিল হবে।”


শেয়ার করুন