ফুলে, মিছিলে আর সমাবেশে গণসংবর্ধিত কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রাসেল

ef282056-86e7-4b97-95c5-64acf9178b74বার্তা পরিবেশক

জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান শক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রদল সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল। আর তার এই অর্জনে গর্বিত ও আনন্দিত হয়ে নেতা-কর্মীরা ফুলেল সংবর্ধনায় ভরিয়ে দিয়েছেন। একদিকে মিছিলের পর মিছিল, অন্যদিকে ফুলের মালা দিয়ে তাদের প্রিয় নেতাকে বরণ! আর সাথে ছিল জ¦ালাময়ী বক্তৃতায় ‘স্বৈরাচারি’ সরকার উচ্ছেদের দীপ্ত শপথ। তাদের নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন আর কক্সবাজার থেকে সরকার পতনের আন্দোলন হবে আরো বেগবান, এই ছিল তাদের চেতনা, প্রেরণা ও এগিয়ে যাবার অন্তরের উচ্ছাস।
বুধবার বিকালে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের মাঠে আয়োজন করা হয়েছিল এই গণসংবর্ধনার। এতদিন ছাত্রদলের প্রতিটি সভায়, সমাবেশে সভাপতিত্ব করেছেন জেলা সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল। এই সংবর্ধনায় তা ছিল ব্যতিক্রম। এখানে তো মধ্যমণি সেই রাসেলই। পুরো মঞ্চজুড়ে রাসেল হয়ে উঠেন প্রধান অতিথিরও প্রধান অতিথি। আর সেই গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হয়ে আসা জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও প্রধান আলোচক সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজলও যেন গাইলেন ছাত্রদলেরই জয়গান।
সংবর্ধিত রাশেদুল হক রাসেল কৃতজ্ঞতায় পূর্ণ হয়ে শুধুই তার অগ্রজ নেতাদের প্রতি শুধুই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতা-কর্মীর প্রতিই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাশেদুল হক রাসেল তার বক্তব্যে বলেন, ‘ছাত্রদলের তৃণমূল নেতা-কর্মী, আপামর জেলাবাসি ও অগ্রজ নেতাদের কারণেই আমি আজ এতদূর আসতে পেরেছি। ছাত্রদলের রাজনীতি করি বলেই আমি আজ নেতা হয়েছি। এই কৃতজ্ঞতা কখনোই ভোলার নয়।’
তিনি মনে করেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুক্ত হওয়া মানেই আন্দোলন সংগ্রামে তার দায়িত্ব আরও বেড়ে যাওয়া। আর তিনিও চান, বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে যে কোন আন্দোলন কর্মসূচিতে সামনে কাতারে থাকবেন।
রাসেল বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কোনই জনপ্রিয়তা নেই। তারা এখন জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতায় টিকে আছে। যে কোন মুহুর্তে সেই মসনদ ভেঙ্গে পড়বে। তখনও ছাত্রদলই থাকবে সামনের কাতারে।’
সংবর্ধনা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সরওয়ার রোমনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এই গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দখলদারিত্বের সরকার। জনগণকে বাদ দিয়ে তারা ক্ষমতার চেয়ার আকড়ে ধরে আছে। কিন্তু সেই দিন আর বেশি দূরে নয়, যখন সবকিছুরই পতন হবে ইতিহাস সৃষ্টি করে! তখন তাদের পালানোরও পথ পাবে না।’
তিনি বর্তমান সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এখনও চাইলে পিঠ বাঁচাতে পারেন। তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে বিদায় নিলেই আওয়ামী লীগের জন্য মঙ্গলজনক হবে।’
তিনি গণসংবর্ধনা সম্পর্কে বলেন, ‘জেলা ছাত্রদল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে যাওয়া মানেই দায়িত্বের ভার আরও বেড়ে যাওয়া। রাশেদুল হক রাসেলকে তাই এখন থেকে সচেতনতার সাথে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হবে।’
সংবর্ধনা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত গণসংবর্ধনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল।
লুৎফুর রহমান কাজল তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রচার করছে দেশ এখন উন্নয়ন জোয়ারে ভাসছে। কোথায় সেই উন্নয়নের জোয়ার, যেখানে কোন মানুষই শান্তিতে নেই।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন গুমড়ে মরছে। কখন এই সরকারের বিদায় হয়। আর যখন বিস্ফোরণ হবে তখন কেউ এই সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের রক্ষা করতে পারবে না।’
লুৎফুর রহমান কাজল মনে করেন, ছাত্রদলই দেশের দূর্যোগ মুহুর্তে দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এখনও সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আগামিতেও ছাত্রদলই আন্দোলন সংগ্রামে থাকবে।
তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুক্ত হওয়ায় রাশেদুল হক রাসেলকে অভিনন্দন জানান।
এদিকে দুপুরের পর থেকে এই সংবর্ধনাকে ঘিরে সাধারণ নেতা-কর্মীদের মাঝে উল্লাস উচ্ছাস শুরু হয়। একের পর এক মিছিল এসে জড়ো হতে থাকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে। এক সময় ছাত্রদল নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে বিএনপি কার্যালয় ছাড়িয়ে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে সেই সমাবেশ।
রাশেদুল হক রাসেলের এই গণসংবর্ধনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না, জেলা শ্রমিক দল সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা মৎস্যজীবী দল সভাপতি হামিদ উদ্দিন ইউছুফ গুন্নু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এড. আবু সিদ্দিক ওসমানী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান, মহিলা দলের সাবেক আহবায়িকা রবওয়া বেগম, যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য এম মোকতার আহমদ ও আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ, জেলা যুবদল সভাপতি সৈয়দ আহমদ উজ্জল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ, জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক জিসান উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক এড. মো. ইউনুছ, তরুণ দল জেলা সভাপতি কাউন্সিলর ছালামত উল্লাহ বাবুল।
এছাড়াও অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মনির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আবদুর রউফ, যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রিটন, জেলা মহিলা দল সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর হুমায়রা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
গণসংবর্ধনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর যুবদল সভাপতি মসউদুর রহমান মাসুদ, সদর উপজেলা যুবদল সভাপতি ফরিদুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌর সভাপতি আবদুর রহিম, পৌর ছাত্রদল আহবায়ক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ, চকরিয়া পৌরসভা আহবায়ক মোহাম্মদ আলী, সিটি কলেজ আহবায়ক সাইফুর রহমান নয়ন, সদর উপজেলা সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম টিপু, চকরিয়া কলেজ আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন, রামু উপজেলা সভাপতি জহির আলম, টেকনাফ উপজেলা সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, উখিয়া উপজেলা সভাপতি রিদুয়ান সিদ্দিকী, টেকনাফ পৌরসভা আহবায়ক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা সভাপতি জসিম উদ্দিন জনি, মহেশখালী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোরশেদ, কক্সবাজার আইন কলেজ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজদ্দৌলাহ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সভাপতি এএইচ রায়হান উদ্দিন, সরকারি কলেজ সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, টেকনাফ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা, উখিয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন চৌধুরী, শহর যুগ্ম আহবায়ক ফাহিমুর রহমান, কানন বড়–য়া, হারুনুর রশিদ, আশরাফ ইমরান, এনামুল হক, আল আমিন, মোহাম্মদ রিয়াদ, কায়সার ফারুক, মোহাম্মদ ছফা ও মোহাম্মদ ফয়সাল, টেকনাফ পৌর যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম, আইন কলেজ সাধারণ সম্পাদক করিমতাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহআলম ভূট্টো, জালাল উদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল নোমান, রায়হানুল হক রিপন, ইসমাইল হোসেন সৌরভ, পৌরসভা যুগ্ম আহবায়ক সাদ্দাম হোসেন নিশান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন সুমন, মামুনুর রহমান, জামিল উদ্দিন, চকরিয়া কলেজ যুগ্ম আহবায়ক কুতুব উদ্দিন, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ওবায়দুল্লাহ নুর সিদ্দিকী, তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ, মিজানুর রহমান, আসিফ নেওয়াজ, হাবিব উল্লাহ মিজবাহ, জমির উদ্দিন জুয়েল, শাহরিয়ার মোহাম্মদ স¤্রাট, কুতুবদিয়া সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন রিপন, সিটি কলেজ সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শামসুল আলম, ইয়াসির আরাফাত খোকন, মোহাম্মদ ইমরান, নুর উদ্দিন মুন্না, ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মুরাদ, রাশেদুল হক, ফারুক আজম, মুজিবুর রহমান রোমন, আরাফাত সাইফুল আদর, ওয়াহিদুল ইসলাম লিটন, মোজাম্মেল হক, একরামুল হক, ইয়াসির আরাফাত বিপু, ইনজামামুল হক, মোহাম্মদ শাহেদ, নুরুল হাশেম, সাদ্দাম হোসেন (১), সাদ্দাম হোসেন (২), সাদ্দাম হোসেন (৩), রেজাউল হক, মনজুর আলম, রহিম উল্লাহ প্রমূখ।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশন করা হয়।


শেয়ার করুন