আমাদের সময়.কম:
বহুল আলোচিত ফেসবুক পেজ বাঁশেরকেল্লার এডমিন প্রধান ফাহাদ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও চলছে বাঁশেরকেল্লা পেজটি। এছাড়া ওই নামের আরও কয়েকটি পেজে নিয়মিত পোস্ট করা হচ্ছে জামায়াত-শিবিরের কর্মকাণ্ড নিয়ে। এতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে কে চালাচ্ছে এ পেজ?
অবশ্য পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, একটি পেজের প্রধান এডমিনসহ অনেক এডমিন করা যায়। এতে একজন ওই পেজে কিছু পোস্ট না করলেও অন্যরা তা করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিতর্কিত এই পেজে কারা পোস্ট দিচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে বাঁশেরকেল্লার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘বিভিন্ন টেলিভিশনে ও অনলাইন নিউজে ব্রেকিং নিউজ দেয়া হচ্ছেÑ ‘বাঁশেরকেল্লা পেজের প্রধান এডমিন আটক। কিন্ত আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনাদের প্রিয় পেজ বাঁশেরকেল্লার প্রধান এডমিনসহ সব এডমিন নিরাপদ আছেন, আলহামদুলিল্লাহ।’ ওই পেজের নোটিশে লেখা হয়েছেÑ এর আগেও কয়েকবার এরকম নাটক করে এডমিন গ্রেপ্তারের গুজব ছড়িয়েছিল সরকার। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করার সাথে সাথে তারা সোশ্যাল মিডিয়ার ওপরও কালো থাবা ফেলার অপচেষ্টা করে আসছে প্রতিনিয়ত। কিন্ত জনতার কথা কি আর আটকে রাখা যায়!! সবার কাছে দোয়া চাই, যেন অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সব সময় আমরা সত্যের পথে অবিচল থেকে সাহসিকতার সাথে সত্য উšে§াচনের কাজ চালিয়ে যেতে পারি। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন। আমীন।’
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফাহাদ জানিয়েছেন, তিনি নিজ নামে ও ছদ্মনামে এসব ফেসবুক পেজ পরিচালনা করে আসছিলেন। এসব ফেসবুক আইডি ও ই-মেইলের মাধ্যমে ফাহাদ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, পুলিশ, সশস্ত্রবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য, গ্রাফিক্স (ছবি) প্রচার করতেন।
ফাহাদের বাবার ভাষ্য অনুযায়ী জানা যায়, ফাহাদকে গত ৯ মার্চ কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে তার মেয়ের বাসা থেকে তুলে এনেছে গোয়েন্দা পুলিশ। চারদিন অস্বীকার করার পর শুক্রবার তাকে বাঁশেরকেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ফাহাদ এর আগে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। পুরো পরিবার সরকারদলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এক ছেলে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি নিজেও (ফাহাদের বাবা) একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। বর্তমানে বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
অন্যদিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৩ সালে বাঁশেরকেল্লার মূল পেজ বন্ধ করে দেয়ার পর আবারও একটি নতুন পেজ চালু হয়। এরপর শুরু হয় তদন্ত। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোয়েন্দারা জানতে পারে চট্টগ্রাম বিভাগের কোনো এক স্থান থেকে বাঁশেরকেল্লা পরিচালিত হয়ে আসছে। গত কয়েক দিন আগে তারা জানতে পারেন কুমিল্লায় অবস্থান করছেন ওই ব্যক্তি। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্র ও ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর প্রচারণা চালানোর অভিযোগে ২০১৩ সালের ২০ ফেব্র“য়ারি পেজটি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম। কিন্ত পরে দ্য নিউ বাঁশেরকেল্লা নামে নতুন করে তা চালু হয়। এছাড়াও আরও বেশকটি বাঁশেরকেল্লা নামের পেজ রয়েছে। সম্পাদনা : আলাউদ্দিনফাহাদ ডিবিতে, পোস্ট দিচ্ছে কারা?