ফারুক হত্যা: আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা নূর মোহাম্মদ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

নিজস্ব প্রতিনিধি
টেকনাফে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা ও যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূর মোহাম্মদ (৩৪) রবিবার ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত রোহিঙ্গা কালা মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদকে দুর্ধর্ষ ডাকাত, রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা ও ইয়াবা গডফাদার দাবি করে পুলিশ বলছে, তিনি একাধিক মামলার পলাতক আসামি ও যুবলীগ নেতা ওমর হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য, রবিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে বিশেষ পুলিশের দল গ্রেপ্তার নূর মোহাম্মদকে নিয়ে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭নং ক্যাম্পের পাহাড়ি জনপদের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায়। এসময় রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠন ও মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে নূর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

ওসির দাবি, এসময় নূর মোহাম্মদের বাহিনীর গুলিতে থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সহ তিনজন আহত হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা গভীর পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরায় গত ২২ আগস্ট রাতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) গুলি করে হত্যা করা হয়। তার বড় ভাই ওসমান গণি অভিযোগ করেন, একদল রোহিঙ্গা তার ভাইকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয় রোহিঙ্গা নেতা নূর মোহাম্মদকে।

২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে ওমর ফারুক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। নিহতরা হলেন- টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো: শাহ ও আবদুর শুক্কুর।


শেয়ার করুন