প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী

2016_04_19_14_44_23_eZyglEKA5K8yp5KkzZ53tKNMiBgTDT_original
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে বৃত্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। এ বছর ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী।

এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে পেয়েছে ৩৩ হাজার। এর আগের বছর পেয়েছিল ২২ হাজার। আর সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ৪৯ হাজার ৫০০ জন, যা পূর্বে ছিল ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীর।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ কথা জানান।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd পাওয়া যাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘বর্তমানে সাধারণ কোটায় বৃত্তির সংখ্যা ৪৯ হাজার ৫০০ বিধায় মোট ৭ হাজার ৯০৬টি ইউনিয়ন/ পৌরসভার ওয়ার্ডে ৬টি করে সাধারণ বৃত্তি হিসেবে ৪৭টি হাজার ৪৩৬টি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

৫০৯টি উপজেলা/ থানায় ৪টি করে মোট ২ হাজার ৩৬টি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বাকি ২৮টি সাধারণ বৃত্তির জন্য ৮ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগ হতে ৩টি করে ২৪টি সাধারণ বৃত্তি প্রদানের পর অবশিষ্ট ৪টি বৃত্তি বণ্টন করা হয়নি।

মন্ত্রী জানান, বৃত্তির পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও এবার বেড়েছে। আগে ট্যালেন্টপুলে মাসে ২০০ টাকা করে দেয়া হলেও এবার দেয়া হবে ৩০০ টাকা। সাধারণ বৃত্তিধারীদের মাসে ১৫০ টাকার পরিবর্তে দেয়া হবে ২২৫ টাকা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে এক কোটি ৩০ লাখ ছেলেমেয়েকে উপবৃত্তি দেয়া হয়।

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পায়। আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার জন্য আলাদা পরীক্ষা নেয়া হতো। ২০১০ সালে সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর তার ফলের ভিত্তিতেই উপজেলাভিত্তিক এ বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।

বৃত্তিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ বাড়াতে নীতিমালাও সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।


শেয়ার করুন