সংসদে শিক্ষামন্ত্রী

প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের ২০ হাজার পদ শূন্য

নুরুল ইসলাম নাহিদ। ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০ হাজার ৫১৬টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিষয়ভিত্তিক প্রায় ২ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আলাদা দুটি প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এই তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু করার পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

বিরোধী দলের সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। তাই এই পদের নিয়োগ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন থেকে সম্পন্ন হবে। ইতিমধ্যে ৩৪ তম বিসিএস থেকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে সুপারিশ করে ৮৯৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থীদের নিয়োগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন ও পুলিশ প্রত্যয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, ইসলাম ধর্ম, ভূগোল, ভৌত বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা, চারু ও কারু কলা, কৃষি শিক্ষা বিষয়ে শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। পিএসসি গত বছরের ১৪ আগস্ট সহকারী শিক্ষকের (বিষয়ভিত্তিক) শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ৪৫০ জন প্রার্থীর নাম সুপারিশ করেছে। সুপারিশ করা ব্যক্তিদের পুলিশি প্রত্যয়ন চলছে।

সরকারি দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ জানান, দেশে এখন ১৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে সরকারি ৩৯টি, বেসরকারি ৯৫টি।

জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উন্নত মেধা ও পরীক্ষাভীতি দূর করতে ২০০৯ সাল থেকে পিইসিই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষাকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। প্রতিবছর উৎসবমুখর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে লেখাপড়ার মান ও প্রাপ্তি অনেক বেড়েছে। এতে বিদ্যালয় পর্যায়ে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই।


শেয়ার করুন