প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল সেন্টমার্টিন ইউনিট ও কক্সবাজার জেলা সমন্বয়কারী মোঃ জোবায়ের এর নেতৃত্বে এক মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্টিত হয়।উক্ত মানববন্ধনটি নারী অপহরন ও দর্শন, বাল্য বিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক দ্রব্য, মানবপাচার, ভূমি দূস্যু, প্রতারনা ও টাকা আত্বসাৎ ইত্যাদি বিষয়ের উপর পথসভা ও মানববন্ধনটি অনুষ্টিত হয়।এতে প্রধান অথিতি হিসেবে কক্সবাজার সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ আলী মুন্না, বিশেষ অথিতি সেন্টমার্টিন বিডি নিউজ সম্পাদক ও প্রকাশক এম কেফায়েত উল্লাহ খাঁন, ইসহাক মাহমুদ চৌঃ, সৈয়দ আলম, আকতার কামাল, হেলাল উদ্দীন সাগর, সালা উদ্দিন শামীম বক্তব্য রাখেন।এতে জসীম উদ্দিন, আয়াছ উদ্দিন ফাহিম, জয়নাল আবেদিন সাগর, রফিক সায়েম, জিয়া উল হক, জয়নাল আবেদিন-২, জাহেদ হোসেন, মৌঃ শাহা আলম, জোবায়ের সাগর, আজিজুল হক, মোঃ ওসমান, ইমাম হোসেনসহ দ্বীপের সর্বস্থরের জনগণ ও অভিযোগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত পথসভায় কক্সবাজার মানবাধিকার কাউন্সিলে অভিযোগের কয়েকটি ঘটনার বিবরন জেলা সমন্বয়কারী মোঃ জোবায়ের তুলে ধরেন। তন্মধ্যে, বাদী মোসাঃ মাহফুজা বেগম বয়স ১৬ বছর। ২০১৫ইং সালের এস এস সি পরীক্ষার্থী ছিলেন।এমতবস্থায়, গত ২৪ই অক্টোবর,২০১৫ইং তারিখে সেন্টমার্টন দ্বীপের বিশিষ্ট প্রভাবশালী হোটেল স্যান্ডশোর রিসোর্টের মালিক কুখ্যাত মৌঃ আব্দুরহমান (৫৩) বাদী মাহফুজা(১৬) বেগমকে বিয়ের প্রলোভন ও লোভলালসা দেখিয়ে অপহরন করে কক্সবাজার নিয়ে যায়। ২০০/টাকা নন জুডিসিয়াল খালি স্ট্যাম্পে সরকার ঘোষিত কোট ম্যারেজ বন্ধ থাকায়, কালো টাকার বিনিময়ে পূর্বের তারিখ (৭/৪/২০১৫ইং) দেখিয়ে জোরপূর্বক সাক্ষর আদায় করে বিয়ে হয়েছে বলে সহজ সরল স্কুল পড়ুয়া মেয়েটির সাথে স্বামী স্ত্রীর মত মেলামেশা করতে থাকে। দীর্ঘ সময়ের পর মেয়েটি যখন গর্ভপাত হয়, কুখ্যাত আব্দু রহমান টেকনাফ গ্রিন গার্ডেন হোটেলে ফেলে রেখে রাত ১২.৩০মিনিটের দিকে নানান অজুহাতে সেন্টমার্টিন পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে বিবাদীর বোনের জামাই মৌঃ সেলিমের সহযোগিতায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নিয়ে নিজ বাসায় আশ্রয় দেয়।নিরুপায় মেয়েটি যখন নিজ স্বামী হিসেবে দাবি করে বিবাদী কুখ্যাত আব্দুরহমান চিকিৎসার নামে তার নিজ হোটেল স্যান্ড শোরে ডেকে নিয়ে এসে গর্ভপাত সন্তান নষ্ট করতে জোর করে।মেয়েটি রাজি না হলে, বিবাদী মারধর শুরু করে।এক পর্যায়ে তার প্রথম স্ত্রী ও তার বাগিনা মোঃ ইসহাকের হাতে তুলে দেয়। তারাও বেরধক মারধর করতে থাকে।মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে একপর্যায়ে হোটেল থকে বের করে রাস্তার ড্রেনে ফেলে চলে যায়।৪৮ঘন্টা পরে সেন্টমার্টিন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়।সুস্থতা অবণতি দেখার কারনে ফের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।পরে উভয় হাসপাতাল ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) তে রেফার করে।ওসিসি’র অফিসার ড. আবুল হোছাইন ও কক্সবাজার জেলার প্রোগাম অফিসার বাদীর জবানবন্দি নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেন।ওসিসি’র সহযোগিতায় পরে টেকনাফ মডেল থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে ২৭/১২/২০১৫ইং তারিখে একটি দর্ষন মামলা দায়ের করা হয়।মামলা নম্বর ৫২/৭৬৮।গত ২৬/১/২০১৬ ইং তারিখে ঐ মামলার তদন্তকারী উখিয়া সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল মালেক মিয়া ও টেকনাফ থানার তদন্ত ওসি মুফিজুল ইসলাম সরজমিেন গিয়ে কুখ্যাত আব্দুরহমানসহ আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তাদের সব ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ রাখতে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাড়ীকে নির্দেশ দেন। আদৌ এই মামলার কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি। বর্তমানে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।উল্ঠো বাদী মাহফুজা ও তার পরিবারকে রেব, পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের মহাপরিচালকদের হুমকি প্রদান করে।
যারফলে, আজ কুখ্যাত মৌঃ আব্দুরহমানের কালো টাকার কবলে একটি সুন্দর জীবন সহজ সরল মেয়েটি থেকে আজ অনেক দূরে।
এছাড়াও জেলা সমন্বয়কারী মোঃ জোবায়ের কক্সবাজার মানবাধিকার কাউন্সিলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অনেক অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। অভিযোগকারীরা হলেন ১। খোরশেদা বেগম (বিষয়ঃ মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ মৃত্যুর হুমকির প্রদর্শন পূর্বক ছেলে মেয়েকে অস্বীকার করার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে), ২। হামিদা বেগম (বিষয়ঃ মানষিক ও শারীরিক নির্যাতনসহ যৌতকের দাবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে), ৩।আসমা আক্তার (বিষয়ঃ যৌতক দাবী তথা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে), ৪। ইয়াছমিন আক্তার (বিষয়ঃ মানষিক ও শারীরিক নির্যাতনসহ যৌতকের দাবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে), ৫।হাছিনা বেগম (বিষয়ঃ আমার বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিবাহ করে আমাকে অত্যাচার ও নির্যাতন করার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে), ৬।মোঃ হাছন (বিষয়ঃ প্রতারনা করে অর্থ আত্বসাৎ করার অভিযোগ) উল্লেখ্যযোগ্য।
মানবাধিকার কাউন্সিলের
প্রবাল দ্বীপে মানববন্ধন
শেয়ার করুন