প্রধানশিক্ষক বিহীন ঘটিভাঙ্গা মডেল হাইস্কুল!

downloadএম. বশির উল্লাহ, মহেশখালী: 
মহেশখালি উপজেলার একমাএ মডেল  সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১০বছরে কোন অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়নি।বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মৌখিক বা এমপি কতৃক বার বার বদল হলেও, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক স্কুলের অভিভাবক, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে কোনদিন মিটিং বা পড়ালেখার উন্নয়নে কোন সমাবেশ হয়নি,সভাপতি বদল হয় ঠিকেই নানা অযুহাতে কিন্তু ঘটিভাংগা স্কুলের ভাগ্য বদল হয়নি কোনদিন,দিনদিন বি গ্রেট থেকে ডি তে নামতে শুরু করেছে ঘটিভাংগা স্কুলের পজিশন, সকাল থেকে শুরু হয়  বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নানা ববকাটে ছেলেদের আনাগোনা, নানা ইভটেজিং এ জর্জরিত স্কুলের পড়ালেখার পরিবেশ, দেশহিতৌষী কোন সচেতন নাগরিকের পক্ষে তা কোনদিনও মেনে নেওয়া সম্ভব না, কে কি কারনে দীর্ঘ সময় স্কুলের সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা সম্পন্ন হয়না তার সঠিক জবাব, কেউ দিতে পারেনা।

ঘটিভাংগা এলাকার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর  বলেন, ‘বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন হয়েছে। সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্টানে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সূযোগ সুবিধা চালু হওয়ায় বিশ্ববাসীর সাথে, তাল মিলিয়ে চলার মতো অবস্থা ঘটিভাংগা স্কুলের পরিবেশ অনুকুলে নয় বলে জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার ধারা প্রচলিত হওয়ায় দেশ ও জাতীর শিক্ষা বঞ্চিতের কলংক মুক্তের ক্ষেত্র বাড়ছে দেশের উন্নতি কিন্তু বর্তমানে ঘটিভাংগার ছেলেমেয়েরা এ সূযোগ সুবিধাকে কাজে লাগাতে পারছে না দুর্বল কমিটির কারনে, যেহেতু স্থানীয় জনগণ মনে করে কমিটির কোন হস্তক্কেপ নেই বলে। যেমন ইচ্ছা তেমন  করে কোন মতে সময় অতিবাহিত করে চলে যায় প্রতিদিনের সময়। অনেকে বলেন নানা কারনে ঝরে পড়তে শুরু করেছে ছাএছাএী, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস উপস্থিতি নিশ্চিত সহ জ্ঞানার্জনের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতে সকল ছাত্র ছাত্রীর পিতা মাতা, অভিভাবক, শিক্ষক শিক্ষিকা সহ পাড়া-প্রতিবেশীরও অধিকার রয়েছে বলে মনে করেন। ছেলেমেয়েদের বিদ্যার্জনের ধারাবাহিকতা নিশ্চিতে বর্তমান সরকারের নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপের ভুয়সী প্রশংসা তার পরেও কেন ঘটিভাংগা স্কুলের এই অবস্থা জানতে চায় জনগণ।

এলাকার অবসরপ্রাপ্ত  শিক্ষক রোশন আলী জানান, স্বাধীনতা পূর্বাপর কোন সরকারের আমলেই এধরনের সূযোগ সুবিধা চালু করাতো দূরে থাক তা গ্রহনের সাহসিকতাও দেখাতে পারেনি কোন সরকার, তবে ঘটিভাংগা স্কুলের পরিবেশ সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে গেছে, দশ বছরে কোন অভিভাবক সমাবেশ হয়না,মন্তব্য করে বলেন, বিদ্যালয় পড়ুয়া প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর লেখাপড়া ছাড়াও সকল বিষয়ে শিক্ষক শিক্ষিকার পাশাপাশি মা-বাবা ও তাদের পাড়া প্রতিবেশীদেরও খোঁজ খবর নেয়া ও পরামর্শ দেন তিনি। এবিষয়ে যেমন সকলের সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী তেমনি সকল পর্যায়ে শিক্ষা সেবার মান বাড়াতে মাসিক  বা অভিভাবক সমাবেশ করা জরুরী,।

অপরদিকে বর্তমান এসএমসি কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন খোকা জানান,তিনি স্কুলের সব বিষয়ে অবগত কিছু দিনের মধ্যে অভিভাবক সমাবেশ ডাকবেন স্কুলের উন্নয়নের স্বার্থে। এভাবে চলতে থাকলে ঘটিভাংগা স্কুলের প্রাথমিক লেবেলে পড়ালেখা চরম ব্যাহত হবে মর্মে জোর অভিযোগ তোলেন সচেতনমহল।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন,জেলা প্রাথমিক প্রশাসন সহ এমপি মহোদয়ের  দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় জনগণ।


শেয়ার করুন