প্রধানমন্ত্রী মঈন খানকে একহাত নিলেন

121139_1সিটিএন ডেস্ক :

ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক খুন নিয়ে বিএনপি নেতা আবদুল মঈন খানের বক্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ ঘটনায় মঈন খান জড়িত থাকতে পারেন বলে তার সন্দেহ হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবাক হয়ে দেখলাম, বিভিন্ন দূতাবাস থেকে রেড এলার্ট জারির পরই বিএনপির এক নেতা জোর গলায় কথা বলছেন।

এখন তো সন্দেহ হয় যে, উনাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত, ওই ঘটনার সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা। আমি দেশে ফিরে সে ব্যবস্থাও করব।’

গুলশানে সিরাজ তাভেল্লা হত্যার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি নেতা আবদুল মঈন খান মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক জুজুর ভয় দেখিয়ে’ সরকার নিজেই এখন তার শিকারে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সফরের ব্যস্ত সূচির মধ্যে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাভেল্লা হত্যাকাণ্ড, জঙ্গিবাদের শঙ্কা, বাংলাদেশের রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

জঙ্গি হামলার তথ্য থাকার কথা বলে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের সতর্ক করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই নিউ ইয়র্ক শহরেও আওয়ামী লীগ নেতা নজমুলকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাই বলে কি এই সিটিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল?’

তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ মন্তব্য করেন শেষ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশই শুধু নয়, এখন বিশ্বব্যাপী এমন সন্ত্রস্ত পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা কোনো জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করি না। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানও আমরা চাই না।’

যারা বাংলাদেকে ‘অস্থিতিশীল’ করতে চায়, তারাই এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

‘দেশে একটি রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী মানুষ পুড়িয়ে মারে। মানুষ হত্যা করে দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়- এমন কিছু লোকতো বাংলাদেশে রয়েছে। তারাতো চাইবেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। সেই শ্রেণির লোকদেরই কর্মকাণ্ড এগুলো।’

তাভেল্লা খুন হওয়ার পর আইএস-এর দায় স্বীকারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধানমন্ত্রী প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা যদ্দুর জানি, শিকাগো থেকে একটি মেসেজ দেয়া হয়েছে যে, এটি আইএস করেছে। তবে বাংলাদেশ থেকে কেউ এমন দাবি করেছে বলে এখন পর্যন্ত কোনো মেসেজ পাইনি।’

জঙ্গি হামলার ঝুঁকির কথা বলে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে সফর পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরে হামলা বা নাশকতার কোনো ঘটনা কখনো ঘটেনি।

‘এতটুকু বলতে পারি যে, আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনসাধারণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খেলাধুলা পরিচালনায় সব ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও যথেষ্ট পারদর্শিতার সঙ্গে সকলের নিরাপত্তা বিধানে বদ্ধপরিকর।’


শেয়ার করুন