প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্রমিক লীগের মামলা

PMসিটিএন ডেস্ক:

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নালিশী মামলা করেছে বরিশাল শাখা অটোরিকশা শ্রমিক লীগ।

বৃহস্পতিবার সংগঠনটির বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ ২৭ জন বাদী হয়ে প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক আব্দুল হামিদ অভিযোগটি আমলে নিয়ে পরবর্তীতে আদেশের অপেক্ষায় রেখেছেন।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য বিবাদীরা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বরিশাল সিটি মেয়র, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা, বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। এর মধ্যে শেখ হাসিনা ২৮নং এবং সৈয়দ আশরাফ ২৯নং বিবাদী।

মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম বাংলামেইলকে জানান, বরিশাল মহানগর অটোরিকশা শ্রমিকলীগের পূর্বের কমিটি গত ২ আগস্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করে অনেকটা গোপনে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হানিফ খোকন নতুন একটি কমিটির অনুমোদন দেন। এই কমিটিতে কালাম শরীফকে সভাপতি এবং মাইনউদ্দিন বাবুলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়া এই কমিটিতে আরও ১২ সদস্য রয়েছেন।

মামলার আরেক বাদী পূর্বের ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সিকদার বাংলামেইলকে জানান, অটোরিকশা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খোকন ৯০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে সংগঠনটির গঠনতন্ত্র না মেনে কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। মূলত এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

—সূত্র বাংলামেইল

প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ

প্রথম আলো:   

দলীয় প্রার্থী হিসেবে আনিসুল হক ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে গতকাল শুক্রবার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল ক্কাফি রতন। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে স্থাপিত রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী কার্যালয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আবদুল্লাহ আল ক্কাফি রতন এ অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল আনিসুল হক ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। প্রধানমন্ত্রী দলের অন্য কাউকে নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

এই মেয়র পদপ্রার্থী সিটি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরে নির্বাচন কমিশন (ইসিকে) উদ্দেশ করে বলেন, তফসিল ঘোষণার পর কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকলেও বড় দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার, ব্যানারে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি লেভেল প্লেংয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি জানান।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার জানা মতে প্রধানমন্ত্রী এ রকম কিছু করেননি। তবে এমন কিছু হয়ে থাকলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।’ তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে রাজনীতি জড়িত থাকে। তবে এটি নির্দলীয় নির্বাচন। তাই সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয়ভাবে করার সুযোগ নেই।

প্রধানমন্ত্রীর জন্য আচরণবিধি প্রযোজ্য কি না, জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘আমি এখানে এসেছিলাম পরিদর্শন করতে। সবার প্রতি সমান আচরণ করার জন্য আমরা আগেই রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। নির্বাচনের সময় সব ক্ষমতা তাঁদের হাতে থাকে। আশা করি তাঁরা নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবেন।’

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য-সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কাউকেই ছাড় দেব না।’ তিনি জানান, ইতিমধ্যে একজন সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থীসহ ২৩ জনকে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করছেন। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাঁরা ব্যবস্থা নিয়ে তাঁকে জানাবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তরের দলীয় প্রার্থী হিসেবে যথাক্রমে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও আনিসুল হককে পরিচয় করিয়ে দেন।


শেয়ার করুন