‘প্রতিবেশী’ হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে ভারত

Government-1আমাদের সময়.কম:

প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষে ‘নাগরিকত্ব আইন-১৯৯৫’ সংশোধনের কথা ভাবছে ভারত। ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ইকনোমিক টাইমস তার ৫ আগস্টের এক সংবাদে জানিয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের যেসব হিন্দু নানা কারণে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় কামনা করছে, তারা যাতে ভারতের নাগরিকত্ব পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে দেশটির নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান আইনে ‘অবৈধ অভিবাসী’র সংজ্ঞা পাল্টাতে হবে, বিশেষ করে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে প্রতিবেশী দেশসমূহের কোনো হিন্দু যদি বৈধ কাগজপত্রসহ ভারতে আসে।
এর আগে মোদি সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর হিন্দুদের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বলা হয়, পাঁচ বছর মেয়াদি ভিসা পাওয়ার পর যারা ভারতে সাত বছর অবস্থান করবে, ধরে নিতে হবে সেই সব প্রতিবেশী হিন্দু ভারতের নাগরিকত্ব কামনা করছে।
ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের হিন্দুরা এই সুবিধা সবার আগে নিতে পারবে, যদি তারা আগামী বছরে অনুষ্ঠেয় আসামের নির্বাচনের আগে ভারতে ঢোকে।
তারা বলেছেন, ভারতের বুকে হিন্দুদের ‘লাগাতার অবস্থান’ বৈধ করতে ‘ফরেনার্স অ্যাক্টেও (১৯৪৬) সংশোধনী আনা হবে।
ইউনিভার্সাল জাস্ট অ্যাকশন সোসাইটির সভাপতি হিন্দু সিং সুধা ইকনোমিকস টাইমসকে বলেন, মোদি সরকারের কাছে প্রতিবেশী হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার রোডম্যাপ হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসরাইল যেমন করে ধর্মীয় কারণে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের ইহুদিদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে, একই কারণে ভারতও বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলের ‘নির্যাতিত’ হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রদানের এক বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারত ২০১৩ সালে ৩০৮৫ পাকিস্তানি ও ১০৯ বাংলাদেশি, ২০১৪ সালে ২৭৭৯ পাকিস্তানি ও ১২৬ বাংলাদেশিকে দীর্ঘমেয়াদি (লং টার্ম ভিসা বা এলটিভি) দিয়েছে। আর ২০১৫ সালে জুলাই পর্যন্ত ১৯৩৪ পাকিস্তানি ও ১১ বাংলাদেশির অনুকূলে এলটিভি ইস্যু করেছে।


শেয়ার করুন