প্রতিপক্ষকে ফাসাঁতে আসামী হলো মামলায় সাক্ষী !

timthumbনিজস্ব প্রতিনিধি

টেকনাফে প্রতিপক্ষকে ফাসাঁতে মামলার আসামীকে করা হলো সাক্ষী। আর প্রতিপক্ষকে করা হলো মানব পাচার মামলার মূল আসামী। এ চলছে গোটা এলাকায় চলছে তোলপাড়। ঘটনাটি ঘটেছে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কুতুবদিয়া পাড়া গ্রামে। জানা যায়, কুতুবদিয়া পাড়া গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে সাহাব উদ্দিন গং এর সাথে জমি জমা সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা হামলা ও বসত ঘর জালিয়ে দেওয়ার একধিক মামলা রয়েছে একই এলাকার আবুল কালাম, জসিম উদ্দিন গং এর সাথে। ঘটনা পাল্টা ঘটনা , মামলা মামলা পাল্টা মামলা একবার আপস মিমাংশা, পুনরায় ঘটনা এভাবে দিন পার হচ্ছিলো। কিন্তু এখনো এরা এখানে ক্ষান্ত হয়নি। নতুন করে শুরু হয় সাজানো মামলার পালা। মানব পাচার মামলায় ফাসাঁনো হলো প্রতিপক্ষ সাহাব উদ্দিন, রুহুল আমিন ও সাহাব উদ্দিন নামে তিন জনকে। ঝিমংখালী গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী শফিকা বেগম বাদী হয়ে (সিপি ১৮৯/১৬ ) মামলা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা, শফিকা বেগম এর আগে কুতুবদিয়া পাড়ার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মোঃ রফিক ও স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারকে আসামী করে স্বামী আব্দুর রশিদকে মালয়েশিয়া পাচারের অভিযোগে টেকনাফ মডেল থানায় ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর ( ডিআর-৪৮১৮) অভিযোগ দায়ের করে। ৭ জানুয়ারি টেকনাফ মডেল থানার এস আই মোহাম্মদ মাসুদ মুন্সি উক্ত দু বিবাদীকে ১৭ জানুয়ারি থানায় হাজির হওয়ার নৌটিশ দেয়। এরপর শফিকা অভিযোগ দায়ের করে সহকারী পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) বরাবরে ২৪ জানুয়ারি একই বিবাদীকে অভিযুক্ত করে। কিন্তু সর্বশেষ মামলার ঘটনার প্রধান আসামীকে প্রধান সাক্ষী করে অপর তিন প্রতিপক্ষকে আসামী করা হয়েছে। এতে সাক্ষী করা হয়েছে মোঃ রফিক, নুরুল কবির ও জসিম উদ্দিনকে। এর মধ্যে শেষোক্ত দু জন হলো প্রতিপক্ষ সাহাব উদ্দিন, রুহুল আমিন ও সাহাব উদ্দিনদের সাথে বিভিন্ন মামলার বাদী বা সাক্ষী। এ ধরনের সাজাঁনো ও পাতানো মিথ্যা মামলার কারনে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
এদিকে এ ধরনের মিথ্যা মামলা ও হয়রানি হতে রেহায় পেতে ভুক্তভোগী রুহুল আমিন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার বরাবর ৮ মার্চ দরখাস্ত করেছেন।


শেয়ার করুন