প্রচন্ড দাবদাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থী কমছে উপস্থিতি

downloadনুরুল আমিন হেলালী :

প্রচন্ড দাবদাহের প্রভাব পড়েছে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্টানেগুলোতে। বৈশাখের তীব্র গরমে ত্রাহি অবস্থা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ জনজীবনে। গরমে অতিষ্ট হয়ে বিদ্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। ফলে অনুপস্থিতির হার বাড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোতে। জেলার কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে কয়েক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে গরমের প্রভাব পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্টানে। প্রচন্ড গরমের কারণে অনেক অভিবাবক ছেলে-মেয়েদের রোদ থেকে বাঁচাতে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করেছে বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের এ রোদ থেকে দুরে রাখা ভালো। কেননা গরমে সবচেয়ে বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু ও বয়স্করা। গত কয়েকদিন যাবৎ একদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং ফলে জনজীবনে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। বৈশাখের তাপদাহে অতিষ্ট জেলার সর্বত্র শুষ্ক প্রাণে কিছুদিন আগে হালকা বৃষ্টিতে সামান্য স্বস্থি ফিরে এলেও পরবর্তীতে প্রকৃতির স্বরুপে ফেরা অগ্নিমূর্তিতে আবারও অধরা স্বস্থির ফোঁটা। যার কারণে প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রাণিকুল। ফলে বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। প্রচন্ড দাবদাহের কারণে শ্রমজীবি মানুষসহ সাধারন মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। অনেক ভ্যান-রিক্সাচালক, দিনমজুর দুপুরে অলস সময় পার করছেন।

প্রচন্ড গরমের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হওয়া নিরাপদ মনে করছে না। তবে গরমে সবচেয়ে অস্বস্থিকর অবস্থা শিশু ও বয়স্কদের। ডায়রিয়া স্বর্দিজ্বর থেকে শুরু করে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এসময়টাতে যেহেতু পানিশুণ্যতা রোগে সবচেয়ে বেশী ভোগে সেহেতু অতিরিক্ত গরম বা রোদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নুরুল করিম খাঁন বলেন, এসময় শিশুরা পানি শুণ্যতা রোগে সবচেয়ে বেশি ভোগে তাই প্রচন্ড গরম কিংবা রোদ থেকে যতটুকু সম্ভব শিশুদের নিরাপদে রাখতে হবে পাশাপাশি বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে।

অন্যদিকে শহরের ব্যস্ত সড়কের পাশে খোলা আকাশে কিংবা ফুটপাতে বিক্রি করা শরবতসহ অন্যান্য খোলা খাবার খেয়েও গরমে শ্রান্ত-ক্লান্ত নি¤œ আয়ের মানুষগুলো পেটের পিড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে, যতটুকু সম্ভব ফুটপাতের খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ। ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া, রিমা, জয়া, সালমা, নিপা, পিবলু ও ফয়সালসহ কয়েকজন জানায়, প্রতিদিন তাদের বিদ্যালয়ে গরমের কারণে ২/৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে আলাপেও জানা যায়, গরমের প্রভাব পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোতে। ফলে শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম হচ্ছে। আবহওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, আরো দু,একদিন এঅবস্থা বিরাজমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।


শেয়ার করুন