পেকুয়া পাউবোর পরিত্যক্ত ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে প্রভাবশালীরা

cdfgনিজস্ব প্রতিবেদক

পেকুয়ায় পাউবোর পরিত্যক্ত ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে প্রভাবশালীরা। কক্সবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ন্ত্রিত ৬৪/২বি ফোল্ডারের ৫১নং স্লুইস গেইটের খালাছি পরিত্যক্ত ভবনটি উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের বিছিন্ন দ্বীপ করিয়ারদিয়ার বিছাখালী এলাকায় বলে জানা গেছে। অপরদিকে পাউবোর ওই ভবন ধ্বসে পড়ার পর পুরোনো ভবনের ইট, কংক্রিট, লোহার রড়সহ রক্ষিত মালামালগুলো লুট করেছে ওই প্রভাবশালীরা। এঘটনায় স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সচেতন করিয়ারদিয়াবাসী সরকারী সম্পদ লুন্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে তৎপর হয়েছেন। এদিকে ভবন ধ্বসে ফেলার বিষয়টি স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কক্সবাজারের পাউবোর বিভাগকে অবহিত করেছেন। প্রাপ্তসূত্রে মহকুমার অধীনে ৬০ দশকের দিকে পাউবো নিয়ন্ত্রিত স্লুইস গেইটের প্রবাহমান খাল ও অববাহিকা রক্ষণাবেক্ষন এবং তদারকির জন্য প্রত্যেক স্লুইস গেইটএর নিকট ভবন তৈরি করে। বর্তমান পাউবোর এসব ভবনগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার জেলার পাউবো বিভাগ থেকে যাবতিয় কর্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জেলা শাখা কার্যালয় থেকে। জানা গেছে, ৫১নং স্লুইস গেইট এর ভবনটি কতিপয় প্রভাবশালীরা গুটিয়ে দিয়েছে। বিশেষ কওে পাউবোর স্লুইস গেইট নিজেদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার জন্য ভবন গুটিয়ে তারা ওই স্থানে পৃথক মৎস্য চাষের জন্য পল বোর্ড স্থাপন করেছেন। করিয়ারদিয়ার বিছাখালী এলাকায় ৫১নং স্লুইস গেইট দখল প্রতিষ্ঠা করেছেন স্থানীয় প্রাভাবশালী জাফর আলম মেম্বার। তার নির্দেশে পাউবোর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ধ্বসে ফেলা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিছাখালী পুরানঘোনা, দারাঘোনা, পুরান বৈষা সহ আশপাশের প্রায় দু’শত একর লবন মাঠে পানির উৎস সৃষ্টির জন্য ওই সাবেক ইউপি সদস্য ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে পলবোর্ড তৈরি করেছেন। সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে তাদেও ভবন গুটিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া সরকারি বেডিবাঁধ কেটে ওই ভবনের ইট, কংক্রিট দিয়ে তৈরি করেছেন ব্যক্তিগত উদ্যেগে পালবোর্ড। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জাফর আলম মেম্বার এসব নিয়ন্ত্রন করায় করিয়ারদিয়ার বিপুল মৎস ও লবন চাষী চরম বেকায়দায় পড়েছে। তারা পানির উৎস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী শবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। অবশ্যই দায়ি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে জনবল কম থাকায় তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একটু সময় হচ্ছে।
এদিকে রাষ্ট্রের সম্পদ এভাবে দখল প্রচেষ্ট ঠেকাতে এলাকাবাসি জাফর আলমের সাথে কথা বলতে ও বাধা দিলে তিনি এলাকাবাসীদের অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ ও তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দেন। পক্ষ থেকে এ ব্যপারে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আলম বলেন, ১৯৯১ জ্বলোচ্ছাসে ভবনটি অধিকাংশ দেবে যায়। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো। আমি ওই ভবন গুটিয়ে ফেলিনি। পানির উৎস সৃষ্টির জন্য একটি বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছি। এটি জনগনের জন্য করা হয়েছে। আমার প্রয়োজনে নয়।


শেয়ার করুন