পেকুয়ায় সাঁকো তুলে নিতে আদালতের ১৪৪ধারা

downloadপেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় পারাপারের জন্য নির্মিত হয়েছে চলাচল খালের উপর সাঁকো। সরকারী পানি চলাচল খালে জনস্বার্থে মানুষ পারাপারের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যেগে স্থানীয়রা বিগত ৫বছর পুর্বে ওই সাঁেকা নির্মান করা হয়। এতে করে ওই সাঁেকা দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করায় লাঘব হয়েছে স্থানীয়দের জনদুর্ভোগ।
এদিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা খালের উপর নির্মিত জনস্বার্থে ব্যবহৃত দীর্ঘ দিনের ওই সাঁকোটি অপসারন করতে একটি স্বার্থন্বেষী মহল তৎপর হয়েছে। ওই চক্রটি ওই স্থান থেকে পারাপার সাঁকো গুটিয়ে ফেলতে খালের তথ্য গোপন করে ওই স্থানকে নালি জায়গা ও বিরোধপুর্ন উল্লেখ করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ধারা জারি করার জন্য এম.আর মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং-৬৭২/১৫।
অপরদিকে ওই আদেশ জনস্বার্থ পরিপন্থি উল্লেখ করে মামলার ২য় পক্ষ বারাইয়াকাটা এলাকাবাসীর পক্ষে হাজ্বী নজির আহমদের পুত্র মো.জহির আহমদ এর বিরুদ্ধে জেলা দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা দায়ের করেন। যার নং- ২১৭/১৫। তবে মামলাটি এখনো শুনানিধীন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন বিগত প্রায় অর্ধ শত বছর পুর্বে বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা গ্রামে খাল খনন করা হয়। ভোলা খালের প্রশাখা হিসেবে ওই খালটি দক্ষিনের বেড়িবাঁধ থেকে বারাইয়াকাটা-সবজীবন পাড়া হয়ে নয়াকাটা খালের সাথে প্রায় তিন কি.মি দৈর্ঘ্য অববাহিকা টইটং খালের সাথে মিশেছে। ওই খালের উপর পাউবোর ৬৫/২বি ফোল্ডারের একটি স্লুইচ গেইট রয়েছে।
স্থানীয়রা প্রবাহমান ওই খালের দু’পাশে গড়ে তুলেছেন শতশত বসতবাড়ি। চলাচলের জন্য এসব পরিবার ও সরকারী ভাবে বারাইয়াকাটা খালের উপর বিপুল সংখ্যক অস্থায়ী ও স্থায়ী সাঁকো, কালভার্ট ও ছোট্র পরিসরে ব্রীজ স্থাপন করেছেন। একই ভাবে বিগত ১১বছর পুর্বে জহির আহমদ খালের ওপারে জায়গা খরিদ করে বসতি করছেন। তার পরিবার পারাপারের জন্য বিগত ৫বছর আগে একটি অস্থায়ী কাঠের সাঁকো তৈরী করে।
সম্প্রতি একটি কতিপয় চক্র তার ব্যবহৃত ওই সাঁেকাটি গুটিয়ে দিতে আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। জানা গেছে ওই খালের উপর স্থানীয়রা পারাপারের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যেগে একাধিক সাঁকো তৈরী করেছেন। এদের মধ্যে জহির আহমদ ছাড়াও নুরুল আবছার, মাহাবু আলম, বদি আলম, আব্দুল খালেক, মোসাদ্দেক, জামাল উদ্দিন, ফিরোজ আহমদ, শফি আলম, হেলাল উদ্দিন, চৌকিদার নুর মুহাম্মদ ও দলিল মাষ্টারসহ স্থানীয়রা ওই খালের উপর সাকো নির্মান করে যুগ যুগ ধরে চলাচল করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন ওই এলাকার চিকিৎসক মুজিবুর রহমান এর পরিবার বিগত কয়েক বছর পুর্বে খালের গতি পরিবর্তন করে ঘরভিটা স্থাপন করেন।


শেয়ার করুন