নজর নেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের

পেকুয়ায় শীলখালীতে পাহাড় কেটে নির্মিত হচ্ছে বসতবাড়ি

images (1)পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়নের পুর্বভারুয়াখালী নাপিতার চিতায় পাহাড় কেটে নির্মিত হচ্ছে বসতবাড়ি। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড়ে সুরম্য পাকা দালান নির্মানের জন্য ওই এলাকার এক সৌদি প্রবাসি পাহাড় কাটা আরম্ভ করে ইতিমধ্যে পাহাড়ের বিপুল অংশ কেটে সাবাড় করেছে। কাছারী মুড়ার পুর্ব পাশে নাপিতার চিতা উত্তর ও পর্বাংশে এ পাহাড়কাটার মহোৎসব চলেছে। গত এক মাস ধরে ওই এলাকা ছবির আহমদের পুত্র নাছির উদ্দিন নামের এক সৌদি প্রবাসি পাহাড়কাটা অব্যহত রেখেছে।

গতকাল সোমবার সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের আওতাধীন বারবাকিয়া রেঞ্জ ও বনবিটের অধিনে শীলখালী ইউনিয়নের পুর্ব ভারুয়াখালী এলাকায় পাহাড় কাটা চলছে। নাপিতার চিতা উত্তর অংশে সর্বোচ্চ একটি পাহাড়ি শৃঙ্গ কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। পার্শবর্তী দুর্গম ভরুয়াখালীর দিকে সড়ক লাগোয়া ওই পাহাড়ের প্রায় বিশ শতক জায়গা কেটে বসতির জন্য সমতল করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন পুর্ব ভারুয়াখালী এলাকার ছবির আহমদের পুত্র সৌদি প্রবাসি নাছির উদ্দিন জায়গাটি বসতি নির্মানের জন্য সমতল করছেন। তিনি পাহাড় চওড়া করে মাটি ফসলি জমিতে অপর আরেকটি ঘর ভিটা তৈরীর জন্য এসব মাটি সেখানে ভরাট করছে। গতকাল ৮/১০জল শ্রমিক মাটি কাটার কাজে নিযুক্ত থাকতে দেখা গেছে।
শ্রমিকারা জানিয়েছেন গত একমাস ধরে এখানে কাজ করছে। প্রতিদিন ওই প্রবাসির কাছ থেকে ৪শত টাকা মজুরি নিয়ে পাহাড় থেকে মাটি কাটছে। এদিকে ওই স্থানে শত শত বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। মাটি কাটানোর ফলে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের এসব বৃক্ষ উপর থেকে ভারসাম্য হারিয়ে উপড়ে পড়ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন নাছির উদ্দিন সৌদি আরব থেকে আসার পর থেকে পাহাড় কাটা শুরু করেছেন। বিষয়টি তারা বন বিভাগকে অবহিত করেছেন। তবে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। আমরা জেনেছি বিটের লোকজন নাছির উদ্দিনের কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা নিয়ে তাকে পাহাড় কাটতে সহায়তা করছেন তারা।

এলাকাবাসিরা আরো জানিয়েছেন মাত্র দু’কি.মিটারের মধ্যে বিট রয়েছে। এরপরেও পাহাড় কাটলেও নেই কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা। তারা দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছে।

বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন কারো কাছ থেকে পাহাড় কাটতে সহায়তা করতে টাকা নেওয়া হয়নি। আমি এসেছি মাত্র একমাস পুর্বে। যারা পাহাড় কাটছে, অবৈধ জবর-দখল করছে এদের আমাদের পক্ষ থেকে তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। বনবিভাগ কাউকে ছাড় দেবেনা। খুব শীঘ্রই জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা উত্তম কুমার পাল জানিয়েছেন পাহাড় কাটার বিষয়টি নিয়ে আমরা নিজেরাই উদ্বেগের মধ্যে আছি। বিষয়টি রোধ করতে ইউএনও ও অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এর কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগে মাঝের ঘোনা থেকে পাহাড় কাটার সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দু’টি মামলা হয়েছে জড়িতরে বিরুদ্ধে। অবশ্যই ওই ব্যক্তিকেও ছাড় দেয়া হবেনা। তার বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।
—ফাইল ছবি


শেয়ার করুন