পেকুয়ায় মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩

downloadপেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় মসজিদের কমিটি ও টাকা আত্মসাত নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শিক্ষকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল ৮জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের চেপ্টামুরা এলাকায়। আহতরা হলেন, ওই এলাকার আব্দু ছালাম মেম্বারের ছেলে মাষ্টার শফিউল আলম(৪২), তার ভাই ব্যাংক কর্মচারী ফরিদুল আলম(২৬) ও মো.হোসেনের স্ত্রী মুরশেদা আক্তার মুন্নি(২৭)। এদের মধ্যে মাষ্টার শফিউল আলম ও ফরিদুল আলমের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মুসল্লীরা জানিয়েছেন, ওইদিন চেপ্টামুরা জামে মসজিদের অনুকুলে ওয়াকিব সম্পত্তির ওয়াশিলা ও মসজিদ ফান্ডের বিপুল অর্থ আত্মসাত নিয়ে কমিটির মতোয়াল্লি জাকের হোসেন কালুর সাথে জুমার নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে হিসাব নিকেশ নিয়ে বৈঠক চলছিল। বৈঠকে মতোয়াল্লি মসজিদ ফান্ডের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাত করার বিষয়টি ধরা পড়ে। এনিয়ে মসজিদ প্রতিষ্টাতা ও দাতা সদস্যগনের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকের হোসেন কালুর নেতৃত্বে আরাফাত, আবু শাহেদ ও গোলাম কাদের সহ ১০/১২জন উত্তেজিত লোকজন অর্তকিতভাবে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করে। তারা আরো জানিয়েছেন, স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য আবু তাহের ও মতোয়াল্লি জাকের হোসেন কালু ওয়াকফের প্রায় ৩একর জমি নিয়ন্ত্রন করে ২০-২৫বছর ধরে যাবতীয় ওয়াশিলা আত্মসাত করে। ওই মসজিদ থেকে ইতিপুর্বে অনৈতিক কর্মকান্ডের দায়ে মৌলভী জেয়াবুল হককে মসজিদ থেকে বিতাড়িত করা হয়। তারা ফের বির্তকিত ওই ব্যক্তিকে মসজিদে পুর্নবহালের চেষ্টা করলে সম্প্রতি এলাকাবাসির সাথে বিরোধ দেখা দেয়। ওইদিন মুলত পুর্ব পরিকল্পিতভাবে এর প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এ হামলার ঘটনা সংঘটিত করেছে বলে মুসল্লীরা জানিয়েছেন। এব্যাপারে শিলখালী ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন মসজিদের টাকা আত্মসাত নিয়ে কালুর বিরুদ্ধে গ্রাম আদালতে মামলা রয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো অমিমাংসিত।


শেয়ার করুন