পেকুয়ায় নিখোঁজ সেই কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা

file3পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় নিখোঁজ কিশোর সেই সাইফুল হক (১৫) বিরুদ্ধে এবার ধর্ষন মামলা করেছে একটি চক্র। প্রায় দু’মাস থেকে নিখোঁজ রয়েছে ওই কিশোর। এনিয়ে তার পিতা সন্তানের নিখোঁজ নিয়ে আইনি সহায়তা পেতে পেকুয়া থানা পুলিশ ও চকরিয়া সি.জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অপরদিকে নিখোঁজ এর মত ষ্পর্শকাতর ও অত্যন্ত হৃদয় বিদারক মানবিক বিষয়টিকে ম্লান করতে ওই চক্রটি কিশোর সাইফুর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা রুজু করেন। যার সিপি নং-৯১৮/১৫।
তবে গত ২২জুলাই থেকে সাইফু নিখোঁজ রয়েছে। ওই সময় থেকে তার পরিবার তার সন্ধানে তৎপর রয়েছেন। এবিষয়ে ভিকটিম উদ্ধার কিংবা ওই ঘটনার ক্লু উদঘাটন করতে সক্ষম হননি পুলিশ। এদিকে ধর্ষন মামলাটি তদন্তের জন্য পেকুয়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) শহিদুল্লাহকে এর দায়িত্বভার অর্পন করেন।
অভিযোগ উঠেছে আদালতের আধিষ্ট ওই পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত না করে নিজের ইচ্ছা মাফিক তদন্ত কার্যক্রম তার নিজ কক্ষে চালিয়ে যাচ্ছেন। এবিষয়ে ওই কর্মকর্তা এক পেশে তদন্তের মানসিকতায় বেশ কয়েকদিন ধরে শুধু বাদি পক্ষকে ডেকে এনে চার দেয়ালের মধ্যে এর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করেছেন। এমনকি বাদি পক্ষকে ওসির ভাড়া বাসা চকরিয়ায় নিয়ে গিয়েও তদন্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সাইফুল হক নিখোঁজ থাকলেও পুলিশ নিখোঁজের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব না দিয়ে ধর্ষন মামলা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এতে অপরপক্ষ ছেলের সন্ধান নিয়ে শংকায় রয়েছে তার পরিবার। তারা রাষ্ট্রের আইনি সহায়তা পাবেন কিনা এনিয়ে বিচলিত।
নিখোঁজ সাইফুর পিতা মনছুর আলম জানিয়েছেন আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন আমি পেকুয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পরে আদালতেও সন্দেহ ভাজনদের বিরুদ্ধে মামলা করি। পরে অপহরনকারীরা আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি ধর্ষন মামলা করে। পুলিশ তদন্তের সার্থে একবারও সরেজমিনে যাননি। ঘটনার প্রমান আছে এলাকায় গেলে শতশত লোকজন এবিষয়ে পুলিশকে সাক্ষি দেবে। কিন্তু বর্তমানে যা হচ্ছে আমি ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত। আদৌ ন্যায় বিচার পাবো কিনা এনিয়ে সন্দেহ তৈরী হয়েছে আমার। পুলিশ এটিকে নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রয়োজন হলে এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করব। তবে তিনি চকরিয়ায় তার ভাড়া বাসায় নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অসত্য বলে জানিয়েছে।


শেয়ার করুন