পেকুয়ায় ত্রাণের চাল লোপাট, আটক ১২

downloadপেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে ত্রানের উপকারভোগিদের ব্যাপক চাল লোপাট হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াত করে একটি চক্র টোকেন দিয়ে বিশেষ কায়দায় সরকারের প্রদত্ত দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের বিশেষ বরাদ্ধের বিপুল চাল লোপাট হয়েছে। এসময় জালিয়াত চক্রের ১২সদস্যকে নকল টোকেনসহ হাতেনাতে আটক করে। প্রায় দু’ঘন্টা আটকের পর স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে সদর ইউনিয়ন যুবদল নেতা তারেকুল ইসলাম (৩৫), ইউনুস, যুবদল পুর্বজোন শাখার সভাপতি টিপু (২৯), শ্রমিকদল নেতা জাফর আলমও রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ৪অক্টোবর রবিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ওই দিন পেকুয়া সদর ইউপি কার্যালয়ে এ ইউনিয়নের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল তিনটি ওয়ার্ড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার উপকার ভোগিদের মধ্যে বিতরন চলছিল। জানা গেছে প্রত্যেক উপকার ভোগির অনুকুলে ১০ কেজি করে খাদ্য শষ্য বিতরনের জন্য নির্দেশনা ছিল। তবে বিশেষ কায়দায় ওই বরাদ্ধের চাল লোপাটের জন্য ওই জালিয়াত চক্র বিতরনের পুর্বে দিন চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াত করে টোকেন তৈরী করে। ওই টোকেন এদিন চাল বিলির সময় তাদের নিজস্ব লোকজনের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। পরে এসব টোকেন নিয়ে চাল উত্তোলন করে। এ সময় টোকেনগুলির প্রতি ইউপি সদস্যদের সন্দেহ পোষন হলে তারা এসব টোকেনসহ ১২জনকে আটক করে পরিষদে একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতারনার মাধ্যমে ওই চক্র প্রায় ৪০টি টোকেন এর অনুকুলে চারশত কেজি চাল ইউপি কার্যালয় থেকে লোপাট করে। জানা গেছে সদর ইউনিয়নে নির্ধারিত উপকার ভোগিদের চাল সরবরাহের জন্য পুর্বে ইউপি কার্যালয় থেকে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের স্বাক্ষরযুক্ত টোকেন বিলি করা হয়। ওই সুযোগে প্রতারক চক্র ওই টোকেনের পরিবর্তে অবিকল টোকেন তারা নিজেরাই সৃষ্টি করেছেন। অপরদিকে গত ঈদুল আযহার আগের দিনেও চাল বিতরনের সময় একই কায়দায় ওই কার্যালয় থেকে প্রতারক চক্র শতশত কেজি চাল লোপাট করেছেন। ওই সময় বরাদ্ধের প্রায় ১৭ বস্তা চাল লোপাট হওয়ায় উপকার ভোগিরা চাল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরেন অনেকে। ১নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য গোলাম ছোবহান এর সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্য মনজুর আলমের ছেলে ছাত্রদল নেতা সুমন, তার চাচাতো ভাই তারেকসহ তারা এসব চাল জালিয়াত করে লুট করেছে। আটককৃতদের স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুর রশিদ খান জানিয়েছেন বিষয়টি কেউ আমাকে অবহিত করেননি। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জেনে নেওয়া হবে। অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন