পেকুয়ায় ছাত্রলীগ দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা

images
পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় ছাত্রলীগ দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হয়েছে। এসময় পুলিশ এসে দু’পক্ষের সৃষ্ট উত্তেজনাকে প্রশমিত করে। এসময় ছাত্রলীগ দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ দু’অনুসারী পক্ষের ২জনকে আটক করে। পরে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যস্থতায় আটককৃত ২জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৫ই আগষ্ট উদযাপনকে ঘিরে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরীর বাজারে (পেকুয়াবাজার) এঘটনা ঘটে। এদিকে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পেকুয়া বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা কিছুক্ষনের জন্য দোকানপাট বন্ধ করে। চকরিয়া-মগনামা সড়কের পেকুয়া বাজার পয়েন্টে প্রায় আধা ঘন্টা যান চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পুলিশ ছাত্রলীগের সৃষ্ট বিরোধ ও সংঘাত থামাতে মৃদু লাঠি চার্জ করে। তবে সংঘর্ষ না হওয়ায় কোন ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, ওইদিন দুপুরে ছাত্রলীগের সালাহ উদ্দিন মাহমুদ গ্রুপ ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও হত্যাকারীদের ফাসির দাবিতে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। অপর গ্রুপ এম.কফিল উদ্দিন বাহাদুর সমর্থিতরা এটিকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করে ছাত্রলীগের ওই অংশের কর্মসুচীটি কোন ধরনের বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ১৫ই আগষ্টের সাথে মিল নাই মর্মে ওই কর্মসুচীর বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে। অপরদিকে সালাহ উদ্দিন মাহমুদ অনুসারী ছাত্রলীগ পেকুয়া চৌমুহনী থেকে মিছিল বের করে পেকুয়া বাজারে ঢুকার চেষ্টা করে। এসময় পেকুয়া বাজারের পশ্চিম পাশে অবস্থানরত এম.কফিল উদ্দিন বাহাদুর অনুসারী ছাত্রলীগ অপর একটি মিছিল নিয়ে বাজারের পুর্ব প্রান্ত সীমানায় মুখোমুখি হয়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। তবে ছাত্রলীগ একাংশের নেতৃত্বদানকারী এম.কফিল উদ্দিন বাহাদুর ও অপর অংশের সালাহ উদ্দিন মাহমুদ মিছিলে ছিলেন না বলে জানা গেছে। পুলিশ কফিল উদ্দিন বাহাদুর অনুসারী ছাত্রলীগের এক নেতা আমিনকে পেকুয়া বাজার থেকে আটক করে। এ সময় ওই অংশের নেতা কফিল উদ্দিন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। অপরদিকে চৌমুহনী থেকে অপর অংশের ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পিকে আটক করে। পরে তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।


শেয়ার করুন