আ.লীগের বিদ্রোহী

পেকুয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল্লাহ’র ২দিনেও খোঁজ নেই

indexপেকুয়া প্রতিনিধি

পেকুয়ায় টৈটং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো.শহিদুল্লাহ’র ২দিন ধরে খোঁজ নেই। গত ২৯মার্চ রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাত সাদা পোষাকধারী একদল লোক তাকে টৈটং ইউনিয়নের জালিয়ার চাং নামক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে পরিবার দাবি করে। জানাগেছে, ওইদিন ওই ইউনিয়নের বনকানন ষ্টেশনে তার নির্বাচনী পথসভা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে ওই এলাকা থেকে তাকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরিবার সুত্রে জানিয়েছেন, শহিদুল্লাহকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে আটক করা হয়েছে। তবে এব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। পেকুয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেছেন, শহিদুল্লাহকে পুলিশ আটক করেনি। আমরা তার বিষয়টি অনুসন্ধান চালাচ্ছি। তাকে খোঁজ করা হচ্ছে।
এদিকে গত দুইদিন ধরে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল্লাহ খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি কি আটক হয়েছেন নাকি তাকে অজ্ঞাত দুবৃর্ত্তরা অপহরন করেছেন এনিয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত কিংবা বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও টৈটং ইউপির দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহর ভাগ্যে কি জুটেছে বিধাতাই জানেন। তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তৈরি হয়েছে উদ্বেগ ও নানা উৎকন্ঠা। নিখোঁজ বা আটকের বিষয়টি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্্রজাল। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ওই ইউনিয়ন থেকে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন তিনি। আ.লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। এরপরেও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এ ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। এব্যাপারে শহিদুল্লাহ চেয়ারম্যানের সহোদর মাষ্টার জাহেদ উল্লাহ জানিয়েছেন, আমার ভাইকে সাদা পোষাকধারী লোকজন তুলে নিয়ে গেছে। প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে তারা ৪০/৫০জনের সমর্থকদের উপস্থিতিতে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। আমরা সন্দিহান হয়েছি। বিষয়টি অত্যান্ত মানবিক বিষয়। আমরা আমার ভাইকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেতে চাই। প্রশাসনের সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। তারা বলছেন অজ্ঞাত আসামী করে এজাহার দেওয়ার জন্য।


শেয়ার করুন