পেকুয়ায় গৃহবধুর লাশ উদ্ধার

imagesপেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা আ’লীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন ফরায়েজীর লাশ উদ্ধারের যেতে না যেতে দু’দিনের মধ্যে ওই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে ফের এক হিন্দু পরিবারের প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের কেরনছড়ি এলাকায়। ওই গৃহ বধুর নাম চম্পা রানী দাশ। তিনি কেরন ছড়ি এলাকার দুবাই প্রবাসী শিবক কান্তি দাশের স্ত্রী বলে জানা গেছে। তার লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্যের ঘনিভুত হয়েছে। এনিয়ে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। হত্যা না আতœহত্যা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেরন ছড়ি এলাকার শিবক কান্তি দাশের বাড়ি থেকে তার স্ত্রী চম্পা রানী দাশের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে পেকুয়া থানার এস আই প্রদীপ কুমার ওই স্থানে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।
সুত্রে জানায় লাশটি সৎকার করার জন্য স্বামী ও পিত্রালয়ের পরিবারের মধ্যে সমঝোতার জন্য চেষ্টা চলছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সৎকার করাা হয়নি বলে ওই এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। তার স্বামী দুবাই থাকায় এ ব্যাপারে তার সুনিদিষ্ট মতমত জানা যায়নি।
নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছেন ওই দিন স্বামীর সাথে মুটোফোনে স্ত্রী চম্পা রানী দাশের বাকবিতন্ডা হয়েছে। সম্প্রতি স্বামী তার প্রতি সন্দেহ পোষন করেন। পরকীয়ার অভিযোগ এনে স্ত্রীর সাথে তার কলহ তৈরী হয়েছে। এর সুত্র ধরে চম্পা রানী অভিমান করে ওই দিন রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করেছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
চম্পা রানী দাশ বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিন জলদীর মহাজন পাড়া এলাকার অনন্ত দাশের মেয়ে জানা গেছে। গত ৪বছর আগে শিবক কান্তি দাশের সাথে তার প্রনয় হয়। তাদের সংসারে কোন সন্তান সন্ততি নেই বলে জানা গেছে।
টইটং ইউপির চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ বিএ চম্পা রানী দাশের মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


শেয়ার করুন