পেকুয়ায় গণপরিবহনে চলছে গণডাকাতি

অনিয়ম
শাখাওয়াত হোছাইন, পেকুয়া:
পেকুয়ায় গণপরিবহনে চলছে গণডাকাতি। সাধারণ যাত্রীদেরকে এক প্রকার জিম্মি করে আদায় করা হচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ বাড়তি ভাড়া। অজুহাত একটাই, তা হলো দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। খালেদা অবরুদ্ধ নাকি বাকরুদ্ধ সেটাতো তাদের রাজনৈতিক ব্যাপার কিন্তু তার মাসুল আমরা সাধারণ জনগণ কেন দিব? কেন সহিংসতার শিকার হবেন সাধারণ যাত্রী কিংবা চালক? কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা পেকুয়ার এক যাত্রী। শুধু চট্টগ্রাম থেকে আসা এই যাত্রী নয় যারা গণপরিবহন ব্যবহার করছেন তাদের সবাইকে গুনতে হচ্ছে ভাড়া বাবদ বাড়তি টাকা। যারা পেকুয়া-বরইতলী সড়ক ব্যবহার করছেন তাদের তুলনায় যারা কুতুবদিয়া থেকে পেকুয়া হয়ে বা পেকুয়া থেকে চট্টগ্রাম বা কক্সবাজারের যাত্রী, গাড়ি সল্পতায় তাদের ভোগান্তিটা একটু বেশী, সাথে রয়েছে বাড়তি ভাড়া।
বেশ কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পেকুয়া থেকে চকরিয়া সড়কে দেড়গুন, চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম সড়কে দুই থেকে তিন গুণ, চকরিয়া থেকে কক্সবাজার সড়কে দেড় থেকে দুই গুণ পর্যন্ত নিধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা আরো জানান, আরকান সড়কেই তুলনামূলক বেশী ভাড়া আদায় করছে পরিবহন শ্রমিকরা।
কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক ও পরিবহন মালিক জানান, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে সারাদেশে প্রচুর গাড়ি ভাঙ্গা ও পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা রাস্তায় গাড়ি বের করেছে, তারা ভাড়া একটু বেশী নিচ্ছে। তবে তা যাত্রীদের সম্মতিতে নেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তারা। তারো আরো বলেন, দেশের অবস্থা ভাল থাকলে তো বেশী ভাড়ার প্রশ্নই উঠে না।
এব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা সিএনজি অটোরিক্সা, মাহিন্দ্রা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নাছির উদ্দিন বলেন, বেশী ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্তপুর্বক ওইসব চালকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন