পূর্ণ মহাসচিব হচ্ছেন মির্জা ফখরুল

162671_1-400x266সিটিএন ডেস্ক:
অবশেষে ভারমুক্ত হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির পূর্ণ মহাসচিব হচ্ছেন তিনি। দলীয় হাইকমান্ডের সম্মতিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফেরার পর চলতি বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন এ সিদ্ধান্ত। তবে সেটি দলের জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমেও হতে পারে, আবার তা হতে পারে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে চেয়ারপারসনের ক্ষমতাবলে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা লন্ডন থেকে গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই উপদেষ্টা জানান, দেশে ফিরেই বেগম খালেদা জিয়া মহাসচিব পদের ঝুলে থাকা বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিএনপির পূর্ণ মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা দেবেন। দল পুনর্গঠনের অংশ হিসেবেই এটি করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই দল পুনর্গঠনের কাজ শেষ করা হবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যদি কাউন্সিল করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা আসে, তাহলে ঘরোয়াভাবেও সেটি করা হতে পারে। বিকল্প হিসেবে চেয়ারপারসন তার গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতাবলেও নতুন নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করতে পারেন। নির্বাহী কমিটিতে এবার নতুন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত এবং দলের জন্য একনিষ্ঠ ব্যক্তিরা স্থান পাবেন।

এ ছাড়া জাতীয় স্থায়ী কমিটিতেও প্রয়োজনীয় রদবদল করা হবে। স্থায়ী কমিটির সমমর্যাদায় দলের একটি উপদেষ্টা পরিষদও গঠন করা হবে। স্থায়ী কমিটি থেকে যারা সরে যাবেন তারা দলের সেই নতুন উপদেষ্টা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডন গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছেন। এ প্রসঙ্গে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলেন, ‘আশা করি বিএনপিতে এবার সময়োপযোগী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা মহাসচিবের বিষয়টিরও নিষ্পত্তি হবে এবার। সময়োপযোগী নেতৃত্বের মাধ্যমেই মানুষের অধিকার তথা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আসলে দেশ যেভাবে চলছে, এভাবে খুব বেশি দিন চলতে পারে না।’ বিএনপির আরেক প্রভাবশালী ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপকালে তিনিও মির্জা আলমগীরের পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর অবশেষে ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিষয়টির ইতিবাচক নিষ্পত্তি হতে যাচ্ছে। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) দেশে ফিরেই বিষয়টির সুরাহা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

দলের সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। উৎসঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন


শেয়ার করুন