পিকেএসএফ এর অর্থায়নে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টয়লেট, গোসলখানা ও নলকূপ স্থাপন

কুতুপালং ডি-৫ ব্লকে টয়লেট, গোসলখানা এবং গভীর নলকূপ কাজের উদ্বোধন করেন পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক মূখ্যসচিব আব্দুল করিম। সাথে আছেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ জসীম উদ্দিন, মহাব্যবস্থাপক মশিয়ার রহমান, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রোজাউল করিম চৌধুরী, ইপসার নির্বাহী পরিচালক আরিফ, কোস্ট ট্রাস্টের মৌলিক কর্মসূচির সহকারী পরিচালক তারিক সাঈদ হারুন, সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আসলাস, কোস্ট টাস্টের কর্মকর্তা, মো: ইউনুছ, জাহাঙ্গীর আলম, তৌহিদুল আলম, নির্মল কান্তি পাল প্রমুখ।

ইমাম খাইর:
মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে কুতুপালং ডি-৫ ব্লকে টয়লেট, গোসলখানা এবং গভীর নলকূপ কাজের উদে¦াধন করেন পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক মূখ্যসচিব আব্দুল করিম। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় তিনি উখিয়া সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মেজর মুঈদ এর সাথে স্বাক্ষাত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ জসীম উদ্দিন, মহাব্যবস্থাপক মশিয়ার রহমান, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রোজাউল করিম চৌধুরী, ইপসা নির্বাহী পরিচালক আরিফ, কোস্ট ট্রাস্টের মৌলিক কর্মসূচির সহকারী পরিচালক, তারিক সাঈদ হারুন, সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার, আসলাস, কোস্ট টাস্টের কর্মকর্তা, মো: ইউনুছ, জাহাঙ্গীর আলম, তৌহিদুল আলম, নির্মল কান্তি পাল প্রমুখ।
পিকেএসএফ সহযোগী সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে আগামী এক মাসের মধ্যে ১৬০টি টয়লেট এবং ৮০টি গোসলখানা এবং ৪০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করবে বলে জানান কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী।
সুত্র জানায়, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ১৯৯০ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক প্রতিষ্ঠিত একটি উন্নয়ন প্রতিষ্টান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পিকেএসএফ সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠি এবং দূর্গত মানুষের চাহিদার নিরিখে টেকসই কর্মসংস্থান, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসহ নানাবিধ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সামষ্টিক উন্নয়ন ও মানব মর্যাদা প্রতিষ্টার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বর্তমান সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সবচেয়ে বড় সমাস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ খাবার পানি, টয়লেট এবং গোসলখানা। মহিলারা অনেক দূরে গিয়ে পানি নিয়ে আসে। গোসলখানা তো দূরের কথা প্রতি ৫০ পরিবারের জন্য ও একটি টয়লেট নাই। যে সকল অগভীর টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে, তার গভীরতা অনেক কম। যার ফলে পানি আসে কম। অনেক টিউবওয়েল ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অস্থায়ী ভিত্তিতে স্থাপিত অনেক টয়ে ইতিমধ্যে ভরে গেছে। যার কারণে চারপাশের পরিবেশ দিন দিন দূষিত হয়ে যাচ্ছে। গোসলখানার অভাবে মহিলারা ঠিক মত গোসল করতে পারছেনা। দিন দিন তৈরী হচ্ছে নানান ধরনের রোগ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী টয়লেট এবং গোসলখানার একটি মডেল তৈরী করেছেন। যা অত্যন্ত টেকসই এবং মজবুত।


শেয়ার করুন