পিএসসি পরিক্ষায় হ্নীলা রোজার ঘোনা বিদ্যালয়ে কেউ পাশ করেনি

পরীক্ষাহেলাল উদ্দিন, টেকনাফ :      

সারাদেশে পিএসসির ফলাফলে আনন্দ উত্তেজনা আর বই উৎসবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেতে উঠলেও ব্যতিক্রম দেখা দিয়েছে সীমান্ত জনপদ টেকনাফ উপজেলায়। সদ্য প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলার হ্নীলা রোজার ঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রথম বারের মত অংশ নিয়ে কেউই পাস করেনি। এই ফল বিপর্যয়ের জন্য স্কুল প্রধান শিক্ষক দায়ী এমনই অভিমত অভিভাবকদের।
জানা যায়, এই বছরে নতুন জাতীয়করন হওয়া ঐস্কুল থেকে প্রথম বারের মত পিএসপি পরিক্ষা অংশ নেন ১১ জন ছাত্র-ছাত্রী। তৎমধ্যে সবাই অকৃতকার্য হয়। অভিভবাকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক অন্য কাজে ব্যস্ত থেকে হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে বিদ্যালয়ে অনুস্থিত থাকে প্রতিনিয়ত। বিদ্যালয় সম্পর্কিত অসচেতনতা, শ্রেণী কার্যক্রমে অবেহেলা, প্রশিক্ষণ বিহীন শিক্ষক, পি.টি.আই ট্রেনিং ব্যবস্থা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে প্রশিক্ষণ না নেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক আবু সিদ্দিকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষকের বড় ভাই হওয়ায় স্কুল সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয় না। এই জন্য যার যেমন ইচ্ছা তেমন স্কুল পরিচালনায় এই ফল বিপর্যয়ে মূল কারণ বলে জানায়। এব্যপারে রোজার ঘোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সিদ্দিকের সাথে (০১৮৫৭৩৯৪৫০৩) যোগাযোগ করা হলে সংবাদকর্মী পরিচয় পেলে লাইন কেটে দেয়। স্কুল পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের বড় ভাই ছৈয়দ উল্লাহর (০১৮২৩৯৬৫৩৯২) সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ চরম ফল বিপর্যয়ের সঠিক তদন্ত করে পরিচালনা কমিটি ও স্কুল শিক্ষক প্রধানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান সচেতন মহল। আর এদিকে বর্তমান সরকারের প্রান্তিক শিক্ষার ক্ষেত্রে যুকান্তকারী পদেক্ষেপ আশাতীত ফলাফল পাওয়া গেলেও এই স্কুলের ক্ষেত্রে কেন তার ব্যতিক্রম জোর প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত ধর এই ফলাফলের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে অচিরেই তদন্ত সাপেক্ষে এ স্কুল বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা পরিসংখ্যান দেখলে বুঝতে পারবেন শূন্য পাসের সংখ্যার স্কুল আশানুরূপভাবে কমেছে। কিন্তু এরপরও কেন ফল বিপর্যয় ঘটেছে তার কারণ জানতে চেয়ে স্কুল কৃতপক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে।


শেয়ার করুন