ফরমালিন মুক্ত পাহাড়ি কমলার কদর বেড়ে চলেছে

পাহাড়ে সবুজ পাতার আড়ালে হলুদ কমলার উঁকি

lama comola photo (1)এম বশিরুল আলম,লামা :

এ বছর বান্দরবানের লামা-আলীকদমে কমলার প্রচুর ফলন হয়েছে। বাজারে এসেছে পাহাড়ে উৎপাদিত হলুদ রংগের রসালো কমলা। ফরমালিন বিহীন হওয়ায় কদর বেড়েছে এখানে উৎপাদিত কমলার। চাষীরা এখন থোকায় থোকায় ভরে উঠা পাকা কমলা ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মৌসুমের শুরু থেকে কমলায় সয়লাব লামা উপজেলাসহ জেলার লামা- আলীকদমের বাজারে ফলের দোকানগুলো। স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে এ কমলা। চাষীদের মতে, অনুকূল আবহাওয়া থাকায় চলতি মৌসুমে পাহাড়ে কমলার আশানুরূপ ফলন হয়েছে। বর্তমানে পাহাড়ে কমলা ও বিভিন্ন মৌসুমি ফল চাষ করে বদলে যাচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা।

সরেজমিন জানা যায়, চলতি মৌসুমে লামা উপজেলায় ব্যাপক হারে কমলার চাষ হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে কমলা চাষ হয়েছে প্রায় ১২০ হেক্টর পাহাড়ী ঢালুতে। লামা উপজেলার লুলাইং কমলা চাষি সোচিং মুরুংসহ অনেকে জানিয়েছেন, বর্তমানে বাগান থেকে প্রচুর ফলন আসতে শুরু করেছে। ১ হেক্টর বাগানের কমলা বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকায়। বর্তমানে পাহাড়ে উৎপাদিত কমলা স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজার দখল নিচ্ছে। এর কারণএখানকার কমলায় কোন ক্যামিকেল বা ফরমালিন না থাকায় খেতে একটু টক লাগলেও এর কদর রয়েছে ফল প্রিয় মানুষদের কাছে। স্থানীয় বাজারে প্রতি ডজন কমলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। কমলা চাষে চাষীরা লাভবান হওয়ায় স্থানীয়দের অনেকে এগিয়ে এসেছে এ পেশায়।

তবে এ চাষে বেশি ঝুঁকে পড়েছে উপজাতি মুরুং, ত্রিপুরা ও বম সম্প্রদায়। চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাইকারি কমলা ক্রেতারা জানান, এইসব কমলা সরাসরি বাগান থেকে কিনে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, পাহাড়ী কমলা চাষীদের সঙ্গে তাদের ব্যবসা দীর্ঘ দিনের। প্রতিবছর খুচরা ও পাইকারি দরে তারা এসব কমলা কিনেন। এ বছর কাঁচা কমলা প্রতি হাজারে, ৫ থেকে ৮ হাজার টাকায় ক্রয় করে চট্টগ্রামের প্রধান প্রধান ফল বাজারগুলোতে সরবরাহ করেন। তবে হীমাগার না থাকায় পার্বত্যাঞ্চলের পচনশীল ফলগুলোর ন্যায্য দাম পাচ্ছে না স্থানীয় কৃষকরা।


শেয়ার করুন