পাসপোর্ট ফি বাড়ছে

888888888888888888888-400x323রাজস্ব আয় বাড়াতে এবার পাসপোর্ট ফি’র দিকে নজর দিচ্ছে সরকার। সাধারণ এবং জরুরি উভয় পাসপোর্টের ফি-ই বাড়ানো হচ্ছে। সাধারণ পাসপোর্টে বাড়ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। জরুরি পাসপোর্টে বাড়ছে ৫ হাজার টাকা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হলেও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এটি ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন। গেল সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী এতে অনুমোদন দেন।

সূত্র মতে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিশাল ব্যয়ের বিপরীতে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উচ্চাভিলাষী এ রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অর্থ মন্ত্রণালয় নানা উপায় খুঁজছে। এরই ধারাবাহিকতায় পাসপোর্ট ফি বাড়ানো হচ্ছে। সরকার আশা করছে, এ কারণে এ খাত থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা আদায় সম্ভব হবে। বর্তমানে সরকার পাসপোর্ট ইস্যু এবং নবায়ন বাবদ ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয় করে। এ আয় আরও বাড়াতে পাসপোর্ট ফি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাসপোর্ট ফি ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। প্রস্তাবে সাধারণ এবং ইমার্জেন্সি পাসপোর্টে ১ হাজার টাকা করে বাড়ানোর কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, বর্তমানে সাধারণ পাসপোর্ট ফি রয়েছে ৩ হাজার টাকা। এটি বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা যেতে পারে। ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট ফি রয়েছে ৬ হাজার টাকা। এটিও ১ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করা যেতে পারে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় মনে করছে, রাজস্ব আয় বাড়াতে এ খাতে আরও ফি বাড়ানো দরকার। তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের চেয়ে ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৮৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে সাধারণ পাসপোর্টে খরচ পড়বে ৫ হাজার ৫০০ টাকা, আর জরুরি পাসপোর্টে খরচ পড়বে ১১ হাজার টাকা। সাধারণ মানুষকে এ পরিমাণ টাকা গুনতে হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়াই। ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ এর ফি হবে আরও বেশি।

শুধু পাসপোর্ট ফি নয়, বাড়ছে বর্ধিত মূল্যের সময়সীমাও। বর্তমানে পাসপোর্ট ফি’র সময়সীমা ৫ বছর থেকে ১০ বছর করা হচ্ছে। জানা গেছে, মোট বাজেট ব্যয়ে সরকারকে সবচেয়ে বেশি টাকা গুনতে হবে সরকারি চাকরেদের বেতন-ভাতা বাবদ। এবার রাজস্ব বাজেটের পরিমাণ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব বাজেটের ৯১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা বা ৪৭ দশমিক ৭৩ শতাংশই খরচ হবে সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা বাবদ। বাজেটে সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা বাবদ এবার ৪৫ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী, যা বিদায়ী (২০১৪-১৫) অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ১৬ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা বা ৫৭ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি। বাজেটে প্রায় ৫ লাখ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবসর ভাতা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা। বিশাল এ খরচ সামলাতে আয় বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় সরকারের নেই। তাই করের আওতা বাড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। পাসপোর্ট ফি বাড়ানো এটিরই একটি অংশ। আলোকিত বাংলাদেশ


শেয়ার করুন