১নং ওয়ার্ডে

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাংবাদিক শ.ম. গফুর প্রার্থী

Ukhiya Pic 30-10-2015 (1)শফিক আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার :

আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগাম প্রচার- প্রচারনা ও গনসংযোগ শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে প্রার্থী হিসাবে জানান দিতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্টান, সভা সমাবেশ উঠান বৈঠক ও পারিবারিক নানা অনুষ্ঠানে যোগদান করে প্রার্থী দোয়া ও সমর্থন চেয়ে রায় প্রত্যাশা করছেন। চায়ের দোকান ও আড্ডায় ঘুরে ফিরে নির্বাচনের কথাই প্রাধান্য পাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা দান, সদকা, খয়রাত. যাকাতও সাধ্যমত করছে। ইতিমধ্যে উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউপির ১নং ওয়ার্ডে ডজনাধিক প্রার্থী মেম্বার পদে প্রার্থী হিসাবে জাহির করে চলছেন। তুলে ধরছেন নানা উন্নয়ন পরিকল্পনার ফিরিস্তি তুলে ধরছেন। বিগত ইউপি নিবার্চন গুলোতে নানা শ্রেণি পেশার লোকজন প্রার্থী হলেও ১নং ওয়ার্ডে এবারে ব্যাতিক্রম প্রার্থী হবেন। তিনি হলেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী শ. ম. গফুর।

সাবেক ছাত্র নেতৃত্ব পরবর্তী যুবলীগের দায়িত্ব পালন বর্তমানে উপজেলা কৃষক লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে দায়িত্বরত। শ.ম. গফুর হাস্যেজ্জল, সদালাপী, নির্লোভ, পরোপকারি, স্পষ্টবাদী, ন্যায়পরায়ন ও একজন উন্নয়ন কর্মী হিসাবেও জন্মস্থান গ্রাম উখিয়ার ঘাটে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে সাধ্যমত ভুমিকা রাখে। ফলে স্থানীয় জনগোষ্টির মাঝে নিজের অবস্থান মোটামোটি গড়ে তুলেছেন। তবে শ. ম. গফুর ফেরেশতা না। দোষেগুনে মানুষ। গুনের পাল্লাই শ.ম. গফুরের ভারী। সমাজ বিধ্বংশী, লুটেরা ও অনৈতিক কাজে জড়িত কিছু প্রতিহিংসুক লোকজনের কাছে শ.ম. গফুর আতংক।

সে হিসেবে চালের মধ্যে ধানের পরিমান গুটিকয়েক ব্যক্তি প্রতিহিংসা প্রসুত শ.ম. গফুর বিরোধী অবস্থান নিলেও নিজ গ্রাম উখিয়ার ঘাট সহ পুরো ওয়ার্ডে শ.ম. গফুরের বলয় এগিয়ে। নিজের সুখের চেয়ে পরের সুখকে প্রাধান্য দিয়ে প্রায়শ: অন্যের কাজে ব্যস্ত সময় পার করেন শ.ম. গফুর। নিরহংকার এই সংবাদ কর্মী লিখার ক্ষেত্রেও মেধাবী, দক্ষ, প্রজ্ঞাবান, সুচিন্তিত কাজে বিশ্বাসী। মানুষ মানুষের জন্য এ শ্লোগানকে বুকে লালন করে বিগত একযুগ ধরে নিজ গ্রাম উখিয়া ঘাটের উন্নয়ন ও জন কল্যানে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে আসছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ ৩৫ বছর উখিয়ার ঘাটে উন্নয়নের ছোয়া লাগে নি। শ.ম. গফুরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধায় একটি কাচা রাস্তা ব্রিক সলিন, দারিদ্র বিমোচনে ভিজিএফ, ভিজিডি, নগদ অর্থ সহায়তা, হাস মুরগী, ছাগল, উন্নত ধান বীজ ফলনশীল শাকসবজির বীজ, সার, কীটনাশক, মাছের পোনা সহ দরিদ্র জনগোষ্টির যে যার পেশার প্রয়োজনীয় উপকরন ও সামগ্রী বিবিধ এনজিও সংস্থা সহ সরকারি এবং বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে যথাসাধ্য সহায়তা এনে সুষম বন্টন করে ১নং ওয়ার্ডকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার ঘাটতি দেখায় নি।

শ.ম. গফুরের কৃতকর্মের পুরুস্কার হিসেবে ক্ষুরধার সাংবাদিকতা একজন পিটিশন রাইটার, ককসবাজার সাংবাদিক সংসদ(সি এসএস) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম পরিচালনা কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি, উখিয়া কৃষকলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, বৃহত্তর উখিয়ার ঘাট সমাজ কমিটির কার্যনির্বাহী সর্দার, উখিয়ার ঘাট আশরাফুল উলুম মাদরাসার পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য, উখিয়ার ঘাট একতা শ্রমিক কল্যান সমিতির (রেজি: নং: কক্স-৪১৪/১১) উপদেষ্টা, ইউনিয়ন নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি ও দুর্যোগ মোকাবেলা, প্রতিরোধ ও করণীয় কমিটির সদস্য, উখিয়ার ঘাট গ্রামের সার্বজনীন বিদ্যুৎ চাই এর উদ্বোক্তা ও পাবলিক মিডিয়া নামক ক্ষুদ্র পেশা প্রতিষ্ঠানের সত্বাধীকারীসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক কল্যানমুলক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। শ.ম. গফুর শিক্ষাদীক্ষায় এইচ এস সি পাশ, জন্ম: ১০ অক্টোবর ১৯৭৯সালে উখিয়ার ঘাট গ্রামে কৃষক ও ক্ষুদ্রমৎস্যজীবি মো: শফি তার বাবা, মাতা নুরুচ্ছফা বেগম গৃহিনী, দুইভাই একবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বিবাহিত জীবনে স্ত্রী, দুই কন্যা ও দুই ছেলে সন্তানের জনক।

এক প্রতিক্রিয়ায় শ. ম. গফুর জানায়, এলাকার উন্নয়ন দারিদ্র জনগোষ্টির কল্যানে সাধ্যমত কাজ করেছি। সামনে মেম্বার পদে প্রার্থী হলেও কারও কাছ থেকে ভোট ভিক্ষা চাইব না। জনগনের উপকারে মঙ্গলে ব্যবহার হয়েছি, আমার মাধ্যমে অনেকে সুফল ভোগ করেছে। সুফলভোগী লোকজন কৃতজ্ঞতার সহিত উপকারের প্রতিদান স্বীকার করে দোয়া, সমর্থন ও রায় দেয়ার বাচ-বিছার জনগনের উপর ছেড়ে দিয়েছি। জনগনের প্রত্যেক্ষ ভালবাসা এবং রায় পেয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যদি জয়ী করায় তাহলে সকল ভালকাজে হ্যাঁ, খারাপ কাজকে না, এই চিন্তা চেতনায় ১নং ওয়ার্ডে ইনসাফ প্রতিষ্টা ও উন্নয়নে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করব। তবে শেষ পর্যন্ত শ.ম গফুর প্রার্থী হবেন কি না তাও সন্দেহ পোষন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।


শেয়ার করুন