পুলিশ - আওয়ামীলীগ মতবিনিময়

পালংখালীর রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা

politicsশফিক আজাদ, উখিয়া :

উখিয়ার পালংখালী এলাকায় আরফাত হত্যাকান্ড নিয়ে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলী আহমদ ও তার ভাই ইব্রাহিমকে জড়িয়ে মামলা রুজু করার ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে অস্তির পরিবেশ। এ নিয়ে পালংখালী আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে দ্বিধাবিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। যা পরবর্তী যে কোন নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি সহিংস ঘটনায় হতাহতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় আওয়ামীলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা উখিয়া থানা পুলিশ প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করে উক্ত হত্যা মামলার সুষ্টু তদন্ত পূর্বক নিরপরাধ নেতাকর্মীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
মতবিনিময়কালে পালংখালী ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মৌলভী জলিল আহমদ অভিযোগ করে জানান, আগামী ইউ,পি, নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আলী আহমদ ইতিমধ্যে এলাকায় ব্যাপক জনমত সৃষ্টি সহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করায় তার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাকে জনবিচ্ছিন্ন করে আর্থিকভাবে হয়রানি করার জন্য প্রতিপক্ষ একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালিয়ে আলী আহমদ ও তার ভাই ইব্রাহিমকে আসামী করা হয়েছে। এ সময় পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ মনজুর তার মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলার ফাঁদে ফেলে হয়রানি করার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সাবেক বর্ষীয়ান নেতা ও তার ভাইকে আসামী করা হয়েছে। তাই সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে নিরপরাধ নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার সুপারিশ করেন।
প্রতিউত্তরে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান, নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আরফাত হত্যাকান্ডের ব্যাপারে তার পিতা জাফর আলমের এজাহারের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাই বলে অহেতুক পুলিশ কাউকে হয়রানি করবে না। তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এলাকায় গিয়ে প্রত্যক্ষভাবে ঘটনার তদন্ত করে যথোপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে প্রকৃত আসামীদের নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এমতাবস্থায় কেউ যদি আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে কেউ পার পেতে পারবে না। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নুরুল ইসলাম মেম্বার, আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আহমদ উল্লাহ, জাহেদ আলম, জাকের আহমদ, মোক্তার আহমদ, নুর আহমদ, শহর আলী, নুুরুল হক, হাজী আকতার আহমদ, আব্দুল্লাহ ও আবুল কালাম।
উল্লেখ্য যে, গত ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পালংখালী আঞ্জুমান পাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় পূর্ব ফারির বিল গ্রামের জাফর আলমের ছেলে আরফাত হোসেন (২২) গুরুতর আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে আরফাত হোসেন মারা যায়। এ ঘটনায় আরফাতের পিতা জাফর আলম বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ ও তার ভাই ইব্রাহিম সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


শেয়ার করুন