পাক-ভারত উত্তেজনা : রাতেই ঘটতে পারে কিছু

কাশ্মিরের উড়িতে সেনা ক্যাম্পে জঙ্গি হামলায় হতাহতের ঘটনায় পাক-ভারত উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। দুদেশের সীমান্তেই সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার কোজিকোডে আয়োজিত জনসভায় প্রকাশ্যেই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ রফতানিকারক রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এর আগে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি সম্পর্কেও খোঁজখবর নিয়েছেন। দেশটির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের বরাতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর ইঙ্গিত, রোববার রাত থেকেই এসব জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নামতে পারে নিরাপত্তা বাহিনী। সিন্ধু, পাখতুনখাঁ, গিলগিট’সহ পাকিস্তানে অন্তত ১৬২টি জঙ্গিঘাঁটি চিহ্নিত করেছে ভারত।

এদিকে, তদন্তে নেমে উরির ঘটনায় জঙ্গিরা জাপানি ওয়্যারলেস সেট ব্যবহার করেছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। সেটগুলোর নিমার্তা প্রতিষ্ঠান ‘আইকম’। যারা কোনো দেশের নিরাপত্তা সংস্থার কাছেই একমাত্র এসব সেট বিক্রি করে থাকে। তাই এ সম্পর্কে তথ্য জানতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করছে ভারতে গোয়েন্দা সংস্থা। গেল রোববার কাশ্মিরের উরিতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে জঙ্গি হামলায় ১৮ জন নিহত হন।

অন্যদিকে, উরির হতাহতের ঘটনার পর দুদেশের সম্পর্কের অবনতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। পরমাণু শক্তিধর দেশদুটিকে শান্ত হতে শনিবার আহ্বান জানান পাকিস্তানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত থমাস ড্র। লাহোরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই উদ্বেগের কথা জানান।

উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র’ও। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন আর্নেস্ট কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানকে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানান।

উৎসঃ পরিবর্তন


শেয়ার করুন