পাকিস্তানকে নিয়ে ভারতকে চীনের আগাম হুঁশিয়ারি

 

পাকিস্তানকে নিয়ে ভারতকে চীনের আগাম হুঁশিয়ারিপাকিস্তানকে নিয়ে ভারতকে চীনের আগাম হুঁশিয়ারি
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানের কথিত সন্ত্রাস নিয়ে যেন ভারত সরব না হয়। ৩ সেপ্টেম্বর চীনের শিয়ামেন শহরে শুরু হচ্ছে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে ভারত পাকিস্তানের কথিত সন্ত্রাস নিয়ে সরব হতে পারে ধরে নিয়ে আগেভাগে বার্তা দিল চীন।
গত বার গোয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে বারবার ভারত পাক সন্ত্রাস প্রসঙ্গ তোলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে ‘‌সন্ত্রাসের বাহক জাহাজ’‌ বলে উল্লেখ করেছিলেন। যদিও অন্য সদস্য দেশগুলো সেভাবে ভারতের পাশে দাঁড়ায়নি। সূত্রের খবর, মোদিকে চীন তাদের মনোভাবের কথা জানিয়ে দিয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়িং বলেছেন, ‘‌আমরা মনে করেছি ভারত হয়ত পাকিস্তানের সন্ত্রাস নিয়ে সরব হতে পারে। কিন্তু ব্রিকস সম্মেলন সেই নিয়ে আলোচনার প্রকৃত মঞ্চ হতে পারে না।’‌ ভারত যদি বিষয়টি তোলে তবে বন্ধু দেশ পাকিস্তানের স্বার্থে চীন ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। আর তাতে ব্যর্থ হবে ব্রিকস সম্মেলন। চুনিয়িং বলেছেন, গোটা বিশ্ব ব্রিকসের দিকে তাকিয়ে আছে। চীনের ব্রিকস সম্মেলন যাতে সফল হয় তার জন্য সহযোগী দেশগুলো সহযোগিতা করবে বলে আশা করি।
ব্রিকসের পাঁচ সদস্য দেশ— ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশগুলো সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় একে অপরকে সমর্থন করতে চুক্তিবদ্ধ। কিন্তু চীনের বিরোধিতার পরে ভারতের পক্ষে অন্য সদস্য দেশগুলোর সমর্থন পাওয়া কঠিন।
হুয়া পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, পাকিস্তানও সন্ত্রাস মোকাবিলায় প্রথম সারিতে রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বের উচিত পাকিস্তানের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানানো। পাকিস্তানের সমর্থন চীনের গলা ফাটানো এই নতুন নয়। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি পাকিস্তানকে ‘‌সন্ত্রাসের আশ্রয়দাতা’‌ বলে কটাক্ষ করে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন। তারপর থেকেই পাকিস্তানের সমর্থনে চীনের গলাটা একটু উঁচু তারে বাজছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনও এখন মনে হচ্ছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জোর গলায় কথা বললেও তলে তলে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই বেশি আগ্রহী।
ডোকালাম সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না চীন

বিতর্কিত ডোকালাম সীমান্তে সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে চীন। ডোকালাম নিয়ে ভারতের সাথে মাসব্যাপী দ্বন্দ্বের অবসানের পর বেইজিং এ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, “ডোকালাম মালভূমিতে চীনের সেনাদেরকে মোতায়েন রাখা হবে এবং আমরা ঐতিহাসিক কনভেনশন অনুযায়ী আমাদের সার্বভৌমত্বের চর্চা অব্যাহত রাখব।” তবে যে রাস্তা তৈরি নিয়ে মূল সমস্যা তৈরি হয়েছিল সে সম্পর্কে বেইজিংয়ের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করতে চাননি তিনি।
রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করা হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে চীনা মুখপাত্র জানান, “রাস্তা নির্মাণসহ অন্য কোনো অবকাঠামো তৈরি হবে কিনা সে সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক সব বিষয়কে আমরা বিবেচনায় নেব।”
এর আগে ভারত সরকার ঘোষণা করে যে, ডোকালাম সীমান্ত নিয়ে তারা চীনের সাথে সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং বেইজিং ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার প্রশংসা করেছে।


শেয়ার করুন