পাঁচ বছরে অস্ত্র ক্রয়ে শীর্ষে ভারত

varot-osro-400x220সিটিএন ডেস্ক:
রাশিয়ার কাছ থেকে নতুন যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি সেরে ফেলাতেই স্পষ্ট, ভারত বিদেশ থেকে বড় মাপের অস্ত্রশস্ত্র কিনতে আগ্রহী এবং এই প্রবণতা বেড়েই চলেছে। ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতে বড় মাপের অস্ত্রের আমদানি বেড়েছে ১৪০ শতাংশ – যার অর্থ, বিগত পাঁচ বছরে ভারত বিশ্বব্যাপী সব থেকে বড় অস্ত্রশস্ত্র ক্রেতাদের মধ্যে প্রথম স্থানে৷ এই তথ্য দিয়েছে স্টকহোমের সিপ্রি সংস্থা৷ নিচে তার একটি গ্রাফিকাল প্রেজেন্টেশন দেয়া হলো-
২০১০ থেকে ২০১৪ ভারতের অস্ত্র আমদানি ছিল সারা বিশ্বের মোট অস্ত্র আমদানির ১৫ শতাংশ – অর্থাৎ চীনের অস্ত্র আমদানির প্রায় তিনগুণ৷ বলতে কি, চীনের অস্ত্র আমদানি বিগত দশ বছরে প্রায় ৪২ শতাংশ কমেছে৷ বর্তমানে সৌদি আরব বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ, কিন্তু ভারত শিগগিরই দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে যাবে, বলে বিশ্লেষকদের ধারণা৷
অবশ্য জার্মানি কিংবা ফ্রান্স ভারতের বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলির মধ্যে পড়ে না৷ বিগত পাঁচ বছর ধরে ভারত তার চাহিদার ৭০ শতাংশ মিটিয়েছে রাশিয়া থেকে অস্ত্র আমদানি করে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ১২ শতাংশ, ইসরায়েলের কাছ থেকে সাত শতাংশ।
সেক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে ভারতের অস্ত্র আমদানির মাত্র এক দশমিক দুই শতাংশ এসেছে জার্মানি থেকে, শূন্য দশমিক সাত শতাংশ ফ্রান্স থেকে৷ অপরদিকে রাশিয়া থেকে ভারত কিনেছে ২০১৩ সালে একটি সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরী, ২০১২ সালে একটি আকুলা ক্লাস-২ শ্রেণির সাবমেরিন, ২০১২-১৩ সালে তিনটি তলওয়ার রণতরী, ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ৩৩টি মিগ-২৯ কে জঙ্গি বিমান এবং ১০৫টি এসইউ-৩০ এমকেআই জঙ্গি বিমান। এছাড়া ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১১৪টি এমআই-১৭ভি৫ হেলিকপ্টার৷২০১৫ সালে রাফায়েল।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃশ্যত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সংস্কারে আগ্রহী৷ তার পরিকল্পনাই হল বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে একযোগে সমরাস্ত্র ও সামরিক যানবাহন উৎপাদনের বন্দোবস্ত করা। কারণ, চীন ও পাকিস্তানের মতো দুই প্রতিবেশীর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রতিরক্ষার দিকে নজর না দিয়ে উপায় নেই৷ বিশ্লেষকদের মতে ভারত ও তার প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক সবসময় সরু সুতোর উপর থাকে। সূত্র : নয়াদিগন্ত


শেয়ার করুন