পর্যটনের অপার সম্ভাবনা চৌফলদন্ডী-খুরুস্কুল ব্রীজ সংলগ্ন উপকূল

bridgeনুরুল আমিন হেলালী :
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মৎস্য ও লবণ শিল্পে ভরপূর সৈকত উপকন্ঠে নির্মিত চৌফলদন্ডী-খুরুস্কুল ব্রীজ সাগর ঘেঁষা উপকূলীয় প্যারাবন এলাকা পর্যটন ও উন্ন্য়নের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মেচনকরেছে। যার দিগন্ত রেখায় মহেশখালী চ্যানেলের সূনিবিড় স্বচ্চ জলরাশির বঙ্গেপাসাগরের মিলনমুখ, উপকন্ঠে পর্যটন শহর, সাগর জলের জোয়ার ভাটার অরণ্য ও বৈচিত্রময় জলজীবনের আনন্দবেদনার দৃশ্যকাব্য বিমোহিত করবে ভ্রমণ পিয়াসী কপোত-কপোতিদের। অন্যদিকে মৎস্য লবণক্ষেতের রুপালী শস্যসহ সব মিলিয়ে সমস্ত সম্ভাবনা ও সৌন্দর্য্যের কোহেলীক নান্দনিকতায় আবর্তন করছে চৌফলদন্ডী-খুরুস্কুলের উপকুলঘেরা সাগর নদী চ্যানেলের মোহনা থেকে খোসাডাঙ্গা দিগন্তের অবারিত জলভুমি। কালের খেয়াঘাট খ্যাত মালকাবানু-মনুমিয়ার প্রেমের প্রেমের লোকজপূরাণ ও পদচারণাধন্য পূণ্যতীর্থ ওই জনপদে এতদিন ধরে লুকিয়ে ছিল প্রেম-প্রমোদ পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। জানা যায়, কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দীর্ঘবছরের চেষ্টা ও সাধনার ফল হিসেবে বহু কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছে চৌফলদন্ডী-খুরুস্কুল সংযোগ এই ব্রীজ। নির্মিত ব্রীজের উভয় পাশে বৈচিত্রময় প্রাকৃতিক লীলাখেলার বিস্তৃত জলপ্রান্তের সুপ্ত সম্ভাবনায় খুলে যাবে জলনির্ভর পর্যটনের নতুন দিগন্ত। চৌফলদন্ডী-খুরুস্কুল ব্রীজের ফলে সদরের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও, লবণ শিল্পের রাণীখ্যাত চৌফলদন্ডী, ইসলামপুর, ভারুয়াখালী, মৎস্য চাষের অন্যতম এলাকা পোকখালী, গোমাতলী, কৃষি নির্ভরতার যোগানদাতা ইসলামাবাদ, জালালাবাদসহ অপরাপর এলাকার গণমানুষের দীর্ঘপথ জেলা শহর থেকে দুরত্ব অনেকাংশে কমে গেছে। এছাড়া ব্রীজের পার্শ্ববর্তী মহেশখালী চ্যানেল, বাঁকখালী ও বঙ্গোপসাগরের মিলনমূখ অবধি পূর্বে খুরুস্কুল থেকে চৌফলদন্ডী হয়ে ইসলামপুর পর্যন্ত উপকুলীয় দিগন্তে বিকশিত হবে পর্যটন শিল্প। সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রীজটি উদ্ভোধনের পর থেকে অবহেলীত জনপদের জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনসহ ভ্রমণ পিপাসু স্থানীয়দের জন্য অবসর খোরাক মিঠিয়েছে।


শেয়ার করুন