পর্যটক বরণে প্রস্তুত উখিয়ার ইনানী

aassswwশফিক আজাদ,উখিয়া প্রতিনিধি:

এরারের ঈদে দীর্ঘ লোকসান কাটিয়ে উখিয়ার ইনানী পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা আশাবাদি হয়ে উঠেছেন লাভের আশায়। ঈদের পরের দিন থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে পর্যটক বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়িরা। ইতোমধ্যে কটেজ, রেষ্ট-হাউজ, গেষ্ট হাউজসহ হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং শুরু হয়েছে। সম্প্রতি দীর্ঘ ছুটিতে থাকা কর্মচারীরাও কাজে যোগদান করতে শুরু করেছে।
রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক সমাগম হবে ইনানী সমুদ্র সৈকতে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পর্যটক সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা। এতে করে দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা পর্যটন শিল্প চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়িরা বিপুল লোকসান দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এরপরও পর্যটন শিল্পের স্বার্থে ব্যবসা ধরে রেখেছেন ব্যবসায়িরা।
হোটেল-মারমেড এর ম্যানেজার আব্দু ছাত্তার জানিয়েছেন, এবার শঙ্কামুক্ত পরিবেশে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা পর্যটক বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইনানী বীচের ব্যবসায়ীরা । বিগত সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভয় তাড়িত করলেও এবার সেই পরিবেশ নেই। নির্বিঘেœই ইনানী সহ পুরো কক্সবাজার ভ্রমন করতে পারবেন পর্যটকরা। ভ্রমন পিপাসু লোকজন দীর্ঘদিন কক্সবাজার আসতে পারেনি। তাই এবার ঈদের পরে রেকর্ড পরিমান পর্যটক পদচারণা ঘটবে ইনানীতে এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। কক্সবাজারসহ ইনানী হোটেল-মোটেল জোনে পর্যটকদের চাহিদামত সবকিছুই থাকবে। মান সম্মত একাধীক রেষ্টুরেন্ট ইতোমধ্যে পুরোদমে সচল রয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া রেস্টুরেন্টও এখন চালু করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকা কর্মচারীদের অধিকাংশ ইতোমধ্যে কাজে যোগদান করেছেন।
বিগত সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি রেষ্টুরেন্ট এর ম্যানেজার মোহাম্মদ আলম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ছুটি থাকা ২৫ জন কর্মচারী কাজে যোগদান করেছেন। ঈদ মৌসুমকে সামনে নিয়ে আমরা নতুন ভাবে যাত্রা শুরু করতে চাই। আশাকরি ইনানীসহ কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। হোটেল-মোটেল ও রেষ্টুরেন্টে মাংশ বিক্রেতা আব্দুল গফুর জানান, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত বকেয়া পড়েছিল। ব্যবসা না থাকায় টাকা পরিশোধ করতে পারেনি ব্যবসায়িরা। এবার ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসা জমে উঠবে এমন আশা করে এখন পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের আর কোন ভয় নেই, তাই নির্বিঘেœ এই খাতে বিনিয়োগ করছি। গরুর মাংশ ব্যবসায়ি সালাম জানান, ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি প্রায় দেড় বছর। আগামি ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসা আবার শুরু করব।
এ ছাড়াও ফেরি ব্যবসায়ি থেকে শুরু করে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ি পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছেন ঈদ পরবর্তী ব্যবসার জন্য।
উখিয়া থানার সহকারী পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশসহ ইনানী পুলিশের ব্যপক প্রস্তুতি রয়েছে। বৈরী পরিবেশ ও ভাটার সময় যেন পর্যটকেরা সাগরে নামতে না পারে, সে জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সতর্ক থাকবে। দর্শনীয় স্থান ও বিপণী কেন্দ্রগুলোতেও অতিরিক্ত পুলিশি টহল জোরদার করা হবে। উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জনান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিাত টুরিষ্ট পুলিশ ছাড়া ও থানা পুলিশ সবসময় সহযোগীতা করবে পর্যটকদের।
শফিক আজাদ
উখিয়া,কক্সবাজার


শেয়ার করুন