১১:২৩ পূর্বাহ্ণ 
সিটিএন ডেস্ক:
গভীর রাতে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সংখ্যালঘু পরিবারের এক শিশুকে ধর্ষণের সময় স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়েছেন এক যুবলীগ নেতা। ওই যুবলীগ নেতার নাম শামছুল মিয়া চৌধুরী (৩২)। তিনি বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও ওই গ্রামের আকবর মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই শিশু স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনার পর শনিবার ওই ছাত্রীর মা অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১টার দিকে ওই শিশুকে ধর্ষণের সময় স্থানীয় লোকজন তাকে হাতেনাতে আটক করে। স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত শামছুল মিয়ার হুমকিতে রাতে স্থানীয় লোকজন তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তবে, শনিবার সকালে ওই ছাত্রীর মা শামছুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এনে মামলা দায়ের করেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে যুবলীগ নেতা সামছুলকে গ্রেপ্তার করে বানিয়াচং থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুস সালামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা জায়, শুক্রবার রাতে মেয়েটি ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়েছিল। রাতে প্রতিবেশী শামছুল দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। মেয়েটির চিৎকারে তার মা কক্ষে ঢুকে শামছুলকে ধর্ষণ করতে দেখে চিৎকার দেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তখন শামছুল মিয়া সেখানে উপস্থিত সবাইকে শাসিয়ে বলেন, এ ঘটনা নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে তিনি তাকে দেখে নেবেন। তখন লোকজন ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মাহমুদ আলীকে ডেকে আনে। মাহমুদ আলী রাত দুইটার দিকে শামছুলকে অনুরোধ করে ওই ঘর থেকে বাইরে নিয়ে আসেন।
অভিযুক্ত শামছুল বিবাহিত। তার দুটি সন্তান রয়েছে বলেও জানায় স্থানীয়রা।
কাগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মাহমুদ আলী বলেন, ‘শামছুল কাগাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি। তার পরিবার এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী। এ কারণে ভয়ে কেউ তার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে সাহস করে না।’
ওই ছাত্রীর মা জানান, ঘটনার পরও শামছুল তাদের শাসিয়ে গেছেন, যেন মামলা না করেন। এমনকি শামছুলের পক্ষ নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তারা মামলার পরিবর্তে সালিসের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চান।
