ন্যায়নিষ্ঠ ও সন্ত্রাসমুক্ত কালারমারছড়া গড়বো- তারেক শরীফ

শ্রমিকলীগের মিছিলে

রাজপথের মিছিলে

শাহেদ ইমরান মিজান, চীফ রিপোর্টার, সিটিএন: 
তারেক বিন ওসমান শরীফ। মহেশখালী উপজেলার বহুল আলোচিত কালারমারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোননয়ন প্রত্যাশী। সজ্জন ও জনদরদী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে তাঁর। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না হয়েও এরই মধ্যে ন্যায়বান মানুষ হিসেবে এলাকায় প্রচুর সুনাম কুড়িয়েছেন। তাই সাধারণ লোকজন ছুটে যান তাঁর কাছে। কখনো কাউকে ফিরিয়ে দেননি। সব স্থরের মানুষের জন্য বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার হাত। সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় লাঘব করেন মানুষের সমস্যা। জনদরদী এসব গুণের বলে কালারমারছড়া ইউনিয়নের জনমানুষের আস্থায় পরিণত হয়েছেন তরুণ এই জননেতা।

উত্তরাধিকার সূত্রে রক্তে বয়ে চলছে মানবসেবার বাসনা। তাঁর দাদা মরহুম মো: শরীফ চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ। যুদ্ধকালে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার কমান্ডারদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পাক বাহিনী তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলেন। তারেক বিন ওসমান শরীফের পিতা ওসমান গণিও ছিলেন উত্তর মহেশখালীর গণমানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা। তিনি ১৯৯৭ সালে নির্বাচনে বিপুল ভোটে কালারমারছড়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১২ সালের ২৯ মার্চ রাতের অন্ধকারে তাঁকেও পিতার খুনির উত্তরসুরী মীরকাশেম বাহিনী নিমর্মভাবে হত্যা করে। বতর্মান মহেশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হোসাইন ইব্রাহিম তারেক বিন ওসমান শরীফের জেঠা। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এখন মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। হোসাইন ইব্রাহিম ১৯৭৩ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে একটানা ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

প্রতিবেদককে নিজের স্বপ্নের কথা জানাচ্ছেন তারেক শরীফ

প্রতিবেদককে নিজের স্বপ্নের কথা জানাচ্ছেন তারেক শরীফ

দাদা, জেঠা ও পিতার যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে কালামারছড়াবাসীর সেবার মনোবাসনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন তরুণ নেতা তারেক বিন ওসমান শরীফ। কালারমারছড়া নিয়ে বতর্মান ও ভবিষ্যৎ স্বপ্ন নিয়ে সিটিএন চীফ রিপোর্টার শাহেদ ইমরান মিজানের সাথে কথা বলেছেন তারেক বিন ওসমান শরীফ। একান্ত আলাপচারিতায় অকুণ্ঠচিত্তে তুলে ধরেছেন তার স্বপ্নের কথা।
তারেক শরীফ বলেন, ‘আমার দাদা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কক্সবাজারের প্রথম শহীদ। আমার শরীরে শহীদের রক্ত বহমান। একই সাথে মানুষের সেবার বিষয়টিও অভিন্ন। দেশের প্রতি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার দায়বদ্ধতা থেকে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি জনগণের কাতারে নেমে এসেছি। জনগণের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্খা পূরণ, অধিকার বাস্তবায়ন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আমার স্বপ্ন। বিগত পাঁচটি বছর কালারমারছড়ার মানুষ ন্যায় বিচার পাননি। আমার বাবার খুনি সন্ত্রাসের গড়ফাদার মীর কাশেম কোন মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি।

কেমন কালারমারছড়া গড়তে চান জানতে চাইলে তারেক শরীফ বলেন, ‘তরুণরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে পারে। তাই পৃথিবীর সব ক্ষেত্রে তরুণদের জয়জয়কার। তরুণারই পারে একটি সুন্দর দেশ ও আদর্শ জাতি গড়তে। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মুরুব্বীদের পরামর্শে তরুণদের সাথে নিয়ে সন্ত্রাসমুক্ত, ন্যায়নিষ্ঠ ও আদর্শ কালারমারছড়া গড়বো। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে পক্ষ-বিপক্ষের কোন মানুষ যেন অধিকার ও ন্যায়বিচার বঞ্চিত না হয়। সেই সাথে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ক্ষেত্রে অগ্রণী কাজ করবো। কেননা এসব কিছুই মানুষকে সন্ত্রাসসহ যাবতীয় অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। তাতে সমাজ হয়ে উঠে নির্মল।

তারেককে সমর্থন জানিয়ে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের

তারেককে সমর্থন জানিয়ে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সুপারিশ

দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে তারেক শরীফ বলেন, ‘আমি কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। কালারমারছড়ার সর্বস্থরের জনগণ ও দলীয় সব স্থরের নেতাকর্মীরা চাচ্ছেন আমি প্রার্থী হই। তারা সেভাবে সর্মথন দিয়েছে। মনোনয়নের জন্য সুপারিশকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১৮ জনের মধ্যে ১৭জনই আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। সে হিসেবে আমি দলীয় মনোনয়ন শতভাগ প্রত্যাশা রাখি।’

কালারমারছড়ার জনগণও মূল্যবান রায় দিয়ে তাকে নির্বাচিত করবেন- এমন প্রত্যাশা রাখেন তারেক বিন ওসমান শরীফ।


শেয়ার করুন