নিম্নবিত্ত মানুষের ভরসা ফুটপাত

34_223এম.এ আজিজ রাসেল : ঈদে কাঙ্খিত পোশাক কিনতে নিম্নবিত্ত মানুষের ভরসা একমাত্র ফুটপাত। এখান থেকে কাপড় কিনতে পারলে খুশি হত-দরিদ্র ওইসব মানুষ। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের ফুটপাতে চলছে জমজমাট বিকিকিনি। ক্রেতাদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা পাওয়াও মুশকিল।
শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেলে শহরের পানবাজার, বড় বাজার, এন্ডারসন রোড, ফজল মার্কেট, লালদিঘির পাড় হকার ও পৌরসভা মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দোকানিরা বিভিন্ন বয়সী মানুষের জন্য বাহারি ডিজাইনের পোশাক এবং নারীদের জন্য গয়না ও প্রসাধনীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন। মাথার টুপি থেকে পায়ের জুতো পর্যন্ত পরিধেয় সব ধরের জিনিসই পাওযা যাচ্ছে এখানে। রয়েছে গৃহস্থালি কর্মে নিত্য ব্যবহৃত পণ্যও। ১০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা মূল্যের জিনিস বিকিকিনি চলছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ফুটপাতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তাই বিকিকিনিও হচ্ছে পুরোদমে। দেখে মনে হচ্ছে কোনো ক্রেতাই ফিরে যাচ্ছেন না খালি হাতে। তবে পুরো ফুটপাত জুড়ে দোকান বসায় এবং দোকানের সামনে ক্রেতাদের ভিড় থাকায় সাধারণ পথচারীদের চলাচলে কষ্টা হচ্ছে। তবুও ঈদ বলে কথা, মানুষ চলছেন  কষ্ট করেই। অনেক ব্যবসায়ী ফেরী করে বিভিন্ন স্থানে পোসাকের পসরা সাজিয়েছে।
হকার মার্কেট সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে তারা নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাকের সমাগম ঘটিয়েছেন তাদের দোকানে। যাতে করে সব শ্রেণির ক্রেতাকে আকৃষ্ট করা যায়। ফুটপাতের মূল ক্রেতা সাধারণত নিম্ন ও নিম্ম মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। ক্রেতারা জানান, বিভিন্ন শপিং মলের তুলনায় ফুটপাতে তুলনামূলক কম দামে জিনিস পাওয়া যায় বলে তারা ভিড় করেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
হকার্স মার্কেটের সামনের ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করছিলেন গৃহবধূ ছমুদা বেগম। তিনি বলেন, বড় বড় শপিং মলে দাম বেশি। একই জিনিস এখান থেকে কিনলে কিছুটা সস্তায় পাওয়া যায়। তাই এখান থেকে কিনতে এসেছি।
এদিকে দরদাম করে কেনার সুযোগ যেমন রয়েছে তেমনি চলছে একদামে বেচাকেনাও। নারী ও শিশুদের বিভিন্ন পোশাক একদামে বিক্রি করছিলেন বিক্রেতা সুমন। তিনি বলেন, রমজানের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিক্রি হয়নি খুব একটা। তবে গত কয়েকদিন ধরে বিক্রির হার সন্তোষজনক। অপর বিক্রেতা জাহাঙ্গীর  বলেন, আজকে ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের চেয়ে বিক্রি বেশি। তবে ঈদের আগ পর্যন্ত বাকী দিনগুলোতেও আজকের মত বিক্রি হবে বলেই আশা তার।
কক্সবাজার ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুকুল জানান, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি সমিতির পক্ষ থেকে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদ বাজারে আমাদের সার্বিক নজর রয়েছে। এ পর্যন্ত কোন বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি। তিনি সবাইকে সানন্দে শর্পিং করার আহবান জানান।


শেয়ার করুন