নারীর চেয়ে পুরুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি 

www.bonikbarta16পুরুষের আয়ু নারীর চেয়ে কম। কারণ তাদের হূদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশ শতকের গোড়া থেকে নারীর তুলনায় পুরুষের আয়ু কমতে শুরু করে। ইউনিভার্সিটি অব সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ডেভিস স্কুল অব গেরন্টোলজির গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর পিটিআই।
সারা বিশ্বে নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে। সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিরোধ দৃঢ় হয়েছে আঠারো শতকেই। ১৮০০ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী মানুষেরা আগের চেয়ে শ্রেয়তর খাদ্যাভ্যাস অবলম্বন করে। সার্বিক জীবনাচারেও তারা ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। ফলে মৃত্যুহার নিচে নামতে থাকে। নারীরা এসব অগ্রগতির সুফল পুরুষের চেয়ে দ্রুত ভোগ করতে থাকে।
বিশ্বের ১৩টি উন্নত দেশে ১৮০০ থেকে ১৯৩৫ সাল সময়ে জন্মগ্রহণকারী মানুষের আয়ুষ্কাল পর্যবেক্ষণ করে গবেষকরা কয়েকটি প্রবণতা দেখতে পান। প্রথমত. মৃত্যুহার পতনের বিষয়টি সর্বত্র সমান ছিল না। ১৮৭০ সালের দিকেই নারী ও পুরুষের মৃত্যুতে অসাম্য চোখে পড়ে। তখন ৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সী নারী ও পুরুষের মৃত্যুহারে বিরাট পার্থক্য দেখে গবেষণা দলের সদস্যরা অবাক হন। দেখা যায়, ৮০ বছর অথবা তদূর্ধ্ব বয়সের নারী-পুরুষের মৃত্যুহারে তেমন পার্থক্য নেই।
নারী ও পুরুষের মৃত্যুহারে অসম পরিবর্তন দেখে গবেষক দল বৈশ্বিক তথ্য-উপাত্ত নতুন করে নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। ইউনিভার্সিটি অব সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রফেসর এইলিন ক্রিমিন্স জানান, তুলনামূলক অতিরিক্ত মৃত্যুর অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী ছিল হৃদরোগ।
৪০ বছরের বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা পরীক্ষা করে গবেষকরা দেখতে পান, ১৮৮০ সালের পর জন্মগ্রহণকারী নারীদের মৃত্যুহার সমকালীন পুরুষের মৃত্যুহারের চেয়ে ৭০ শতাংশ অধিক দ্রুততায় হ্রাস পেয়েছে। ধূমপানজনিত কারণে মৃত্যুর ঘটনাগুলো হিসাবের বাইরে রাখলেও দেখা গেছে, ৪০-এর বেশি বয়সী পুরুষের মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে হূদযন্ত্রের রোগই দায়ী। প্রফেসর ক্রিমিন্স বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হলো ১৮৯০ সালের পর থেকে নারী ও পুরুষের মৃত্যুহারে যে পার্থক্য, তার মাত্র ৩০ শতাংশের পেছনে ধূমপানকে দায়ী করা যায়।
ইউনিভার্সিটি অব সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রফেসর চালেব ফিঞ্চ বলেন, পুরুষ ও নারীর ওপর হূদরোগের প্রভাবে এই যে তারতম্য, তাতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে নারী ও পুরুষরা ভিন্ন রকম হূদরোগের ঝুঁকি বহন করেন কিনা।বণিকবার্তা


শেয়ার করুন