নারীদের জন্য রমজানের তোহফা

we3নর নারী সবার জন্যই রোজার বিধান। তবে পুরুষের তুলনায় নারীর সাংসারিক কাজ কর্ম একটু বেশিই। রমজানে রোজা ও ইবাদতের জন্য একজন মোমিনাকে আত্মিকভ ও শারিরীকভাবে সচেতন থাকতে হয়। নারী সংসারী হলে তাকে সময়-ব্যবহারে সাবধানী হতে হবে। কেননা ইফতারি তৈরি করা, রাতের খাবার তৈরি করা, বা”চা সামলানো এ কাজগুলো তাকেই ব্যব¯’া করতে হয়। নিজের বিশ্রাম ও স্বা¯’্য পরিচর্যা এবং অপরের খেয়াল রাখা এসব সোজা বিষয় নয়। তাছাড়া রমজানে পাড়াপড়শিদের খবর নেওয়া ও ইফতার পাঠানো সেগুলোর দিকেও ঘরের নারীদের নজর দিত হয়। তাই মুসলিম সমাজে রমজানের সময় একজন নারীর অবদানকে খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নেই। রমজানের বহু আগে থেকেই এই বিষয়গুলোর দিকে তাকে নজর দিতে হয়।

আমরা রমজানে এসব ব্যস্ততায় আধ্যাত্মিক আমলের কথা মনে রাখি না। আত্মার পবিত্রতা সর্ম্পকে আল্লাহর রাসূল (সা) বলেন ‘যে মিথ্যা বলে এমন লোকের খানাপিনা থেকে বিরত থাকা আল্লাহর কোন প্রয়োজন নাই।’ (বুখারী)। রোজা পানাহার থেকে শুধু বিরত থাকার নাম নয়। আজেবাজে কথা, অর্থহীন বক্তব্য ও অশালীন মন্তব্য থেকেও বিরত থাকতে হবে। তা স্বত্ত্বেও যদি অন্য কেউ আপনার সঙ্গে এমন ব্যবহার করে তবে তাকে বলুনঃ ‘আমি তো রোজা রেখেছি।’ (ইবনে খোজায়মা) আল্লাহর রাসূল (সা) বলেন, ‘রোজা এমন একটি ঢাল যা দিয়ে বান্দা নিজকে আগুন থেকে রক্ষা করে। (আহমদ) মহান আল্লাহ তাআলার বাণী “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের মত তোমাদের উপরও রোজা ফরজ করা হয়েছে, যাতে তোমরা তাকওয়ার অধিকারী হতে পার।” (সুরা বাকারা-১৮৩) অতএব নারীদেরও সাংসারিক কাজকর্ম সমেত তাকওয়া অর্জনে সচেষ্ট থাকা উচিত। প্রতিটি নারীর জীবনেই যেন রমজান মাহাত্ম কাজে লাগে এ ক্ষেত্রে পুরুষদেরকেও তাদের সহযোগী হতে হবে।


শেয়ার করুন