নাকে খত দিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে : খালেদাকে নানক

NANOK-1426229799বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আপনি আজ সংবাদ সম্মেলন করছেন ভালো কথা। সংবাদ সম্মেলনে আপনাকে হরতাল-অবরোধ বাদ দিয়ে নাকে খত দিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপরহরণ ও হত্যা চেষ্টার ষড়যন্ত্রকারী জঙ্গি খালেদা ও দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানের বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

নানক আরো বলেন, ‘অবরোধ হচ্ছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সর্বশেষ একটি ধারালো অস্ত্র। আপনি সেই অস্ত্রটিকে ভোঁতাই করেননি বরং ধ্বংস করেছেন। হরতাল-অবরোধের নামে যাদের আগুনে পুড়িয়েছেন তাদের কান্না আপনি কি শুনতে পান?’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি আপনার স্বামী জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধান ও স্বাধীনতা হত্যা করেছিল। আর আজ আপনি শেখ হাসিনা ও তার পুত্রকে হত্যার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে হত্যা করবার পাঁয়তারা করছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয় উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ-হত্যার যে ষরযন্ত্র করা হয়েছিল তার প্রতিবাদ জানিয়ে নানক বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসন সেই ষড়যন্ত্রকে কঠোর হাতে দমন করার জন্য সে দেশের প্রশাসনকে ধন্যবাদ।’
নৌ-পরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি ‘৭২ সাল থেকেই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের অপচেষ্টা করেছিল। ‘৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২০০৪ সালে তার কন্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ওপর হামলা। স্বাধীনতাবিরোধী ঐসব অপশক্তিকে বঙ্গবন্ধু শেষ করে দিতে চেয়েছিল। এ দেশের মাটিতেই জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসর বিএনপির কবর রচনা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে।’

এ সময় তিনি খালেদা জিয়াকে রাজনীতির ‘মিথ্যাচারিনী’ ও ‘খলনায়িকা’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেন।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পল্টন মোড় থেকে হাইকোর্টের সামনের রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নেয়।

 –রাইজিংবিডি


শেয়ার করুন