নাইক্ষ্যংছড়ির চোরাইপথে আসছে গবাদি পশু: রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

Cow20150820101454হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি :
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে পাশ্ববর্তী মিয়ানমার থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত হয়ে চোরাইপথে কৌশলে গবাদি পশু আসছে। সীমান্তের ফুলতলী হতে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে চোরাকারবারীদের অপতৎপরতায় এসব গবাদি পশু অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর ফলে সরকার হারাচ্ছে মূল্যবান রাজস্ব।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে কিছু গরু অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকছে; এমন খবরের বিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালায়। তবে এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা কয়েকটি গরু নিয়ে গহীন পাহাড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও লাখ টাকা মূল্যের একটি গরু পেলে চলে যান। পরে এ গরুটি বিজিবি সদস্যরা আশারতলী বিওপি ক্যাম্পে নিয়ে আটক রাখেন।
রামু ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধিন আশারতলী বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গরুটি বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তৎপরতা আরো বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্তের গর্জনিয়া বাজার, চাকঢালা বাজার, মরিচ্যা বাজার, উখিয়া বাজার, কুতুপালং বাজার, বেতবুনিয়া বাজার, থাইংখালি বাজার ও পালংখালি বাজারে বর্তমানে বৈধপথে আসা গরুর পাশাপাশি চোরাই গবাদি পশুও দেদারছে বিক্রী হচ্ছে। এ কারণে সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কোরবানীর ঈদে পশুর ব্যাপক চাহিদা তৈরী হয়। তাই ঈদের ৯ মাস আগে ছোট গরু বাণিজ্যিকভাবে পালা শুরু করা হয়। আশা একটাই ভাল দাম পাওয়ার। কিন্তু এখন সে আশা গুড়েবালি। যেভাবে মিয়ানমার থেকে বৈধ ও অবৈধ পন্থায় গরু-ছাগল আসছে এখন স্থানীয় খামারিদের খরচ উঠবে কিনাও সন্দেহ।


শেয়ার করুন