নবীজি ঘুম থেকে উঠে যা পড়তেন

maxresdefault-350x263সিটিএন ডেস্ক:

দিন ও রাত্রির সৃষ্টি আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের এক বড় নিদর্শন এবং পুরো দুনিয়ার সকল মাখলুকের জন্য মহা নিয়ামত। যার শোকর আদায় করে শেষ করা যাবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দুনিয়াতে অগণিত অসংখ্য মাখলুক সৃষ্টি করে প্রত্যেককে তার পরিধিতে সংসার জীবন প্রতিপালনে ব্যস্ত করে রেখেছেন এবং এ সকল কাজে সকল মাখলুকের মাঝে ক্লান্তি আসে; আবার তা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করেছেন ঘুমের মাধ্যমে। আর আশরাফুল মাখলুকাত মানুষের মাধ্যমে সকল মাখলুক অবস্থা উপলদ্ধি করিয়েছেন এবং সকল মাখলুক থেকে মানুষকে উপকার ও শিক্ষা গ্রহণের উপকরণ বানিয়েছেন।

আল্লাহ বলেনÑ ‘তোমাদের ঘুম বা নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। রাত্রিকে করেছি আবরণ। দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়।’ [সুরা আন-নাবা : আয়াত -৯-১১]

ঘুমের মাধ্যমে মানুষের প্রশান্তি লাভের পর ঘুম থেকে উঠার সময় মানুষকে আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করার কথা বলেছেন। হাদিস শরিফে এসেছেÑ হযরত হুজাইফা রা. বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে বলতেন, ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’ অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি আমাদেরকে মারার পর জীবিত করেছেন। আর তাঁর দিকেই আমাদের ফিরে যেতে হবে। [সহিহ বুখারি, রিয়াদুস সালেহীন-৮১৭]।

অতঃপর কালিমাতুশ শাহাদাতÑ ‘আশহাদুআল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু’ পড়তেন। অতএব নবীজি সা. এর অনুসরণে আমরাও প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এই দোয়া নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।


শেয়ার করুন