ইয়ং রিভার চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২২

নদীকে বাঁচাতে হলে তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে

তরুণদের মাঝে নদীমাতৃক অন্তর্দৃষ্টি গড়ে তোলা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে নদীর বিস্তৃত পরিমণ্ডলের বিষয়ে অনুসন্ধিতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে শেষ হলো ‘ইয়ং রিভার চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’।

আজ সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে অবস্থিত ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ইয়ং রিভার চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২। এই প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে ৫২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। যার মধ্য থেকে ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে ইয়ং রিভার চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ সম্পর্কে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘নদীকে রক্ষা করবে সরকার। কিন্তু সরকারের সাথে সাথে সহায়ক শক্তিরও খুব বেশি প্রয়োজন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সব সময় দেখে আসছি নদীর চারপাশে যখনই কোনো ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম তৈরি হয় তখনই নদীর ভয়াল দশা তৈরি হয়। সে জায়গা থেকে আমরা মনে করি এই মুহূর্তে নদী সম্পর্কে তরুণদের সচেতনতা তৈরি করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সে জন্য আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি তরুণদের সঙ্গে নদীকে সম্পৃক্ত করার।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার প্রতিযোগীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘নদীর যে বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে তা রক্ষার্থে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজকের এই প্রতিযোগিতা আমাদের এই কাজকে আরো বড় জায়গায় নিয়ে যাবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নদীকেন্দ্রিক ১০০ বছরের পরিকল্পনা সাজিয়েছি। আমরা আমাদের হাওর ও বিলগুলো রক্ষা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নদী থেকে আমরা মাত্র ৮ শতাংশ পানি ব্যবহার করতে পারি। আমরা পরিকল্পনা করেছি আরো ১০-১৫ শতাংশ পানি আটকাব। যার কাজ ইতিমধ্যে আমরা শুরু করে দিয়েছি।’

নদীকে রক্ষা করার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ‘তরুণরা এক হয়েছিল বলেই এই দেশটি জন্মেছিল। আজ ৫১ বছর পর এসে আমাদের নদীগুলো বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই বিপর্যয় থেকে নদীগুলোকে বাঁচাতে হলে তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নদী নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। এই সংগঠনগুলো প্রত্যেকটির কিছু না কিছু ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমতার সাথে মমতার যদি সম্পৃক্ততা তৈরি করতে না পারি তবে কখনোই নদীগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, এম এ কে গ্রুপের মানবসম্পদ, প্রকৌশল ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) ইমতিয়াজ ইসলাম এবং বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন।


শেয়ার করুন