ধর্মবিদ্বেষী লেখালেখির ফলাফল কী?

sompadokio-620x330-550x293সিটিএন ডেস্ক:
নাস্তিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর কী চিন্তা-ভাবনা, সে ব্যাপারে একটা কলাম লিখব ভাবছিলাম। যেদিন তিনি বক্তব্য দিলেন, সেদিনই লিখব ভেবেছিলাম। লেখার বিষয়বস্তু হিসেবে নির্ধারণ করেছিলাম, নাস্তিকবাহিনীর প্রতিক্রিয়াকে। সেই প্ল্যান অনুযায়ীই তাবৎ সেলিব্রিটি নাস্তিক ব্লগারদের প্রোফাইলে ঢুঁ দেওয়া শুরু করলাম। উদ্দেশ্য, তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে একটি ধারণা অর্জন করা। কিছুক্ষণের ভেতর হয়েও গেল। সেসব পড়ে, লেখা শুরুও করেছিলাম। এমন সময় বড়সড় বোম ফাটল। শফিক রেহমান সাহেবের গ্রেফতার। সেটার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই শুরু হলো ‘জয় বনাম ইমরান’ এপিসোড। প্যারালাল চলতে লাগল, রিমান্ড খেলা। নিত্যনতুন তথ্যের যোগান এখনও অব্যাহত রয়েছে। এসব দেখে মনে হলো, এই ‘ইমরান ঝড়ে’ ‘নাস্তিকদের মন্তব্য নিয়ে কোনো লেখা’ ঠিক হালে পানি পাবে না।
ভেবেছিলাম, নাস্তিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বয়ান নিয়ে লেখাটা আর কখনও-ই লেখা হবে না। মোক্ষম সময়ে না লিখলে, পাবলিক খেতে চায় না। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, দর্জি খুন, ধর্মীয় জঙ্গিকর্তৃক খুনে, নতুন এক মাত্রা এনে (প্রথম পৃষ্ঠার পর) দিয়েছে। নাস্তিকরা বেশ খুশি, ‘আমরা তো আগেই বলেছিলাম, আজকে আমাদের খুন করছে, কালকে কিন্তু সবাইকেই করবে। এখন হলো?’ সন্দেহ নেই, ব্যাপারটা চিন্তার। আগেও ছিল এখনও। তবে আগে, একটা মোটিভ ভেবে নেওয়া হতো, কিংবা ‘ধর্মবিদ্বেষী’ লেখাকে কারণ ধরা হতো। এখন ব্যাপারটায় বেশ বড়সড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। আর তাছাড়া, এধরনের খুনে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যেহেতু কোনো সুরাহা হয় না, তাই কখনও-ই জানা যায় না, আদৌতে কী ঘটেছিল। এবারও তার ব্যত্যয় হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। যদিও বাজারে রটে গেছে, ইসলামি জঙ্গিরাই এই কা- ঘটিয়েছে এবং সম্ভবত এই ন্যারেটিভই প্রতিষ্ঠিত হতে চলছে। এবং কোনো প্রমাণ ছাড়াই।
যা বলছিলাম, নাস্তিকতা প্রশ্নে অবশেষে কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী কেশেছেন। বেশ ঝেড়েই কেশেছেন। এবার আর কোনো হাঙ্কিপাঙ্কি নেই। স্ট্রেট বলে দিয়েছেন, ‘আই অ্যাম নট উইথ ইউ’। যদিও আগে হালকা-পাতলা ইশারা দিয়েছিলেন। বুঝিয়েছিলেন, ব্লগিংয়ের নামে যা তা লেখা ঠিক হচ্ছে না। তবে স্বর এতোটা কর্কশ ছিল না। আর কিছু ব্যাপার উহ্য ছিল। আর তা হচ্ছে, ব্লগারদের ওপর হওয়া আক্রমণকে তিনি কী চোখে দেখছেন। এবার আর তা করেননি। সঙ্গে এ-ও বুঝিয়ে দিলেন, তিনি তাদেরকে পর্ণ লেখক বলে মনে করেন। আরও জানালেন, এধরনের পর্ণ লেখা মুক্তচিন্তা নয়। মোদ্দা কথা, তিনি মুক্তচিন্তার নাম করে ওরা যা লিখছে, তিনি তার বিরোধী।
বক্তব্যে এখানেই শেষ নয়। আরও কিছু কথা এসেছে। বাকি যা বলেছেন, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে অনেক ভুল বের করা যায়। দায়-দ্বায়িত্ব নেব না, টাইপ কথাবার্তা একজন রাষ্ট্রপ্রধান বলতে পারেন কিনা, এসব নিয়ে বাক বিত-া করাই যায়। বাট দ্যা বটম লাইন ইজ, ‘আমার কাছে কোনো ফেভার আশা করো না।’ ফেসবুক আর ব্লগের নিয়ম হচ্ছে, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন কি, ‘আপনি হেফাজত’। বিশেষ করে আপনি যদি আওয়ামী না হন। আর নিজের পরিচয় যদি ধার্মিক হিসেবে দিয়েছেন, তবে আর রক্ষা নেই, ‘আপনি জামায়াত’। আওয়ামী নেত্রীকে নেহাত জামায়াত বলা সম্ভব না, বলে আপাতত ‘আপনাকেও কিন্তু ওরা ছাড়বে না’ টাইপ কথাবার্তা দিয়েই গায়ের ঝাল মেটাচ্ছে।
তার বক্তব্যের ‘দায়-দ্বায়িত্ব নেব না’ অংশ নিয়ে বিতর্ক চলছে। তবে সেই বিতর্কে নাস্তিকবাহিনী ছাড়া আর তেমন কেউ শামিল হচ্ছে না। আসলে তাদের সমমনা বলতে আছে তো কেবল আওয়ামীরা। অ্যান্টি আওয়ামী কথাবার্তা যদি তারা বলেও, সেই কথায় আওয়ামীদের সমর্থন তো আর তারা আশা করতে পারে না। আখেরে লাভ হবে না দেখে, বিএনপিও খুব একটা সায় দেয় না। কারণ, ‘শত্রুর শত্রু মিত্র’ ফর্মুলা যেকোনো সময়ে দিক পরিবর্তন করতে পারে। আর তাছাড়া আওয়ামীদের বিরুদ্ধে কথা বলবে কে? বিএনপি, জামায়াত আর বাম ছাড়া আপাতত যারা আওয়ামী বিরোধী কথাবার্তা বলছে, তারা মূলত বিক্রির অপেক্ষায় আছেন। আওয়ামীরা কিনলে চুপ করে যাবেন আর বিএনপি কিনলে, গলার আওয়াজ উঁচু করবেন। বিক্রি বামরাও হয়, তবে যারা বিক্রি হওয়ার, সম্ভবত হয়ে গেছেন।
যা বলছিলাম, নাস্তিকবাহিনী তাদের বক্তব্যে এতোটাই ফোকাসড যে আর কোনো ঘটনা তাদের টানে না। তনু হত্যায়, এদের মূল আকর্ষণ, হিজাব। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকহত্যায় এদের মূল আকর্ষণ, সেতার। গরুর রচনার মতো, যেকোনো ব্যাপারকে টেনে হিঁচড়ে ধর্মের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারলে ওদের আর পায় কে। এরপরে যথারীতি শুরু হয়ে যাবে, ধর্মবিদ্বেষ। ধর্ম কত জঘন্য এক ব্যাপার তার প্রমাণ। নাস্তিকবাহিনীর বেশিরভাগই যেহেতু বাম বা প্রাক্তন বাম, তাই তাদের পীর মার্কসের সেই অমোঘ বাণী, ‘ধর্ম আফিমের মতো’Ñ এই উদাহরণ তারা টানবেই। আর সেই আলোকে প্রমাণ করতে চাইবে, ‘আমি সঠিক পথেই আছি।’
ফেসবুক, ব্লগে যারা কমবেশি বিচরণ করেন, এই দৃশ্য তাদের বেশ পরিচিত। এইসব দেখতাম আর বিনোদিত হতাম। তবে সেদিন জনৈক ফেসবুক সেলিব্রিটিকে দেখলাম সুন্দর একটা প্রশ্ন করতে। তিনি জানতে চাইলেন, কেন তারা ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। যদি সত্যিই তারা মনে করে, ধর্ম নিকৃষ্ট একটি ব্যাপার, তবে তার স্বপক্ষে জনমত তৈরি কিংবা মানুষকে বোঝানো, এমন কোনো ঘটনা নেই কেন? ‘তোর ধর্ম বাজে’ এই কথা বলার পরে কি কেউ সেই ব্যক্তির বাকি কথা শুনতে আগ্রহী হবে? এমন আগ্রাসী এক বক্তব্যের পরে কি কেউ নিজের ধর্ম নিয়ে সমীক্ষায় বসবে? মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হচ্ছে, এমনভাবে আক্রমণ করলে, যুক্তিযুক্ত কথা বললেও, প্রথম প্রতিক্রিয়া হয়, ‘তুই বলার কে?’। তাই প্রশ্ন জাগছে, কাউকে বুঝিয়ে নিজের মতের দিকে আনবার ফর্মুলা কি এই? না যোগাযোগ স্থাপন করে, যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে তাকে নিজের মতাদর্শের দিকে টানা? তাহলে সেই ফর্মুলায় কেন কোন নাস্তিক এগোচ্ছে না?
নাস্তিকবাহিনীর স্ট্যাটাস কিংবা গালিগালাজ দেখে দুটো সম্ভাবনাই মনে জাগে। তারা মনে প্রাণে চাইছে, একটা মৃত্যু পরোয়ানা। কোনো এক জঙ্গি কিংবা ধর্মীয় এক্সট্রিমিস্ট তাদেরকে হুমকি দিক। এরপরের কাজ অনেক সহজ। পছন্দের অ্যামব্যাসিতে গিয়ে জানান দেওয়া, ‘আমি হুমকি খাইসি। এবার তো আমারে ভিসা দেন।’ বেশকিছু ভিসা প্রত্যাখ্যাত ব্লগার খুন হওয়ায়, এবার অ্যামব্যাসিগুলো মৃদু চাপে আছে। ওদিকে আমেরিকা মুখ তুলে তাকানোয়, ব্লগাররাও খুশি। বলা যায়, ওদের মিশন কমপ্লিট।
তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়। শুধুই কি বিদেশি ভিসা? নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য? এই উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যবচ্ছেদ করলে, একটি ব্যাপার অন্তত একমত হওয়া যায়। আর তা হচ্ছে, নাস্তিকবাদী লেখার একটা বাজার আছে। ধর্ম, বিশেষ করে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে লিখলে, সেই লেখা মোটামুটি হিট করে। নাস্তিকবাহিনীও যেমন তাদের নতুন এই সঙ্গীকে প্রমোট করে, ধার্মিকবাহিনীও তেমনি, গালিগালাজ সহযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে, নতুন এই নাস্তিককে সেলিব্রিটি মর্যাদা দান করে। খুব দ্রুত লাইমটাইটে আসা যায়। ফেসবুক কিংবা ব্লগে, এই লাইমলাইটে আসবার একটা প্রচেষ্টা সবারই থাকে। লাইক কিংবা শেয়ার প্রত্যাশী ফেসবুকাররা, প্রায়ই এমন কিছু লেখার চেষ্টা করেন, যেন তা বিতর্ক সৃষ্টি করে। মানুষের চোখে পড়ে। আর ধার্মিকবাহিনীর চোখে পড়লে তো কেল্লা ফতে।
একজন নাস্তিককে, সত্যিকার অর্থে তেমন কোনো কষ্টও করতে হয় না। ইন্টারনেটজুড়ে রয়েছে ভুরি ভুরি ধর্মবিরোধী লেখা। কেবল ‘কাট অ্যান্ড পেস্ট’ করলেই দুমিনিটে তৈরি হয়ে যাবে, ইসলামবিরোধী লেখা। একসময়, ‘আল্লাহ নেই’ টাইপ লেখার বেশ চলছিল। মাঝে কিছুদিন চলল, ‘নবিকে নিয়ে’। ইদানিং শুরু হয়েছে, ইসলাম ধর্ম কীভাবে উগ্রবাদকে ‘প্রমোট’ করছে, তা নিয়ে। কোরান কিংবা হাদিস থেকে কিছু বাণী তুলে দিয়ে প্রমাণের চেষ্টা চলছে, ‘এইসব বক্তব্যের কারণেই, মুসলিমরা সন্ত্রাসী হচ্ছে’।
মূল প্রশ্ন হচ্ছে, এতে লাভ কি হচ্ছে? দেশের বেশিরভাগ জনগণই ধর্ম নিয়ে সেনসিটিভ। ধর্ম সম্পর্কে বাজে কিছু শুনতে অপছন্দ করেন। তবে সে পর্যন্তই। উষ্মা প্রকাশের পরেও যদি কেউ এমন ধর্ম বিদ্বেষী কথাবার্তা বলেন, তবে শুরু হয় এড়িয়ে চলা। সো, এসব নাস্তিকদের কথা শুনে, দলে দলে মানুষ নাস্তিক হচ্ছে, এমনটা মনে হয় না। এরপরেও “োরসে চলছে, এসব লেখা। কিন্তু কেন?
এবার একটু অন্যভাবে দেখি। ধর্মবিদ্বেষী লেখা লিখলে কী কী প্রতিক্রিয়া হয়। নাস্তিকবাহিনী, নিজের সহযোগীকে প্রমোট করে। আর ধার্মিকবাহিনী গালিগালাজ। কিছু থাকে হুমকি দেওয়া টাইপ, ‘সামনে আয়, দেখ কীভাবে কল্লা ফালাইয়া দিই’। এবং এটাই রুটিন। প্রথম জেনারেশান নাস্তিকরা, যারা ইতোমধ্যে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই এসব ‘ফাঁকা বুলি’ সত্ত্বেও লিখে গেছেন। বহাল তবিয়তে টিকে থেকেছেন এবং ভিসাও পেয়েছেন।
কিন্তু ‘গণজাগরণ মঞ্চে’র পর থেকে হওয়া খুনের সংখ্যায় বৃদ্ধি, দুটো সম্ভাবনা মনে জাগাচ্ছে। প্রথমটি হচ্ছে, আক্রমণটা গণজাগরণের ওপর? রাজীবের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত ভেবেছিলেন, এটা গণজাগরণের ওপর হামলা। তাই তার বাসায়ও গিয়েছিলেন। পরে সম্ভবত তিনি মত পরিবর্তন করেন। আর তাই দেখা যায়, পরবর্তীতে আর কোনো নাস্তিকবাদী ব্লগার হত্যায়, তিনি এমন কাজ করেননি। দ্বিতীয় সম্ভাবনা হচ্ছে, আক্রমণটা আসলে কেবল নাস্তিকদের ওপর। আর তেমন হলে, জামায়াতকে সরাসরি টানা যাবে না। দায় চাপাতে হবে, অন্য কারও ওপর। এখন সেটাই চলছে। সেই জঙ্গি কে? আইসিস, না অন্য কোনো খুচরা সংগঠন? আবার কম্বাইন্ড ফর্মুলাও আছে। এসব গোষ্ঠী যেহেতু ধর্ম প্রতিরক্ষার নামে এসব হত্যা চালাচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই তারা গণজাগরণ কর্মী, তাই অনেকেই ধরে নিচ্ছেন, জামায়াতের সাথে লিয়াজো করেই এসব হত্যা ঘটছে। এই যুক্তি দেখিয়ে বেশকিছু ‘গজাম’ নেতা দেশ ছেড়ে ভেগেছেন। অ্যামব্যাসিকে বুঝিয়েছেন, ‘তাদের জীবন শঙ্কার মুখে’।
অন্যদিকে, বেছে বেছে তাদেরকেই হত্যা করা হচ্ছে, যারা ধর্মবিদ্বেষী লেখালেখি করত, তাই অনেকে ধরে নিচ্ছেন, গণজাগরণ এখানে ইস্যু নয়, ইস্যু ধর্মবিদ্বেষী লেখালেখি। আওয়ামীরাও কমবেশি এই লাইনেই ভাবছে। ব্লগার হত্যার পেছনে নাস্তিকবাদী কিংবা ধর্মবিদ্বেষী লেখা একমাত্র না হলেও, মূল কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীও সম্ভবত সেই দলে। ফলে, আওয়ামী ব্লগারদের ভেতর দেখা যায়, নাস্তিকবাদী লেখার বিরোধিতা। সবচেয়ে বড় কথা, এই নাস্তিকবাদী লেখালেখি যতো না মানুষকে নাস্তিকবাদী চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করছে, তার চেয়ে বেশি জন্ম দিচ্ছে জঙ্গি।
প্রশ্নটা এখানেই। মূল ইস্যু কি নাস্তিকতার প্রচার? না জঙ্গি উৎপাদন? দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তো কারও অজানা না। এসব আক্রমণের কোনোটারই তো কোনো সুরাহা হয়নি। ভবিষ্যতের কোনোটারও হবে, এমন আশ্বাস তো পাই না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও তো প্রথমে, ব্লগারের লেখালেখির খোঁজ নিতে আগ্রহী। সরকারি অবস্থানও পরিষ্কার, ‘দায়-দ্বায়িত্ব নেব না।’ তাহলে?
ছোট্ট আরেকটা ব্যাপার মনে করিয়ে দিয়ে লেখা শেষ করব। কোন দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে গেলে, প্রথম কি ঘটে? আমেরিকা উদ্বিগ্ন হয়। আর আমেরিকার উদ্বিগ্ন হওয়া মানেই, ভয়ঙ্কর কোনো পরিণাম। আমাদের ক্ষেত্রে কী হবে, বোঝা যাচ্ছে না। তবে ইতিহাস বলে, কোনো দেশে জঙ্গি তৈরি মানেই, আমেরিকার নাক গলানোর মোক্ষম সুযোগ। নিশা দেশাইও সেদিন সেই কথাই বলে গেলেন। সো, ব্যাপারটা কি দাঁড়াল?
লেখক : কলামিস্ট


শেয়ার করুন